দুলাল দে, মারগাঁও: ডুরান্ড কাপে হার। আইএফএ শিল্ড ফাইনালে ডার্বিতে হার। সন্দীপ নন্দী বিতর্ক। সুপার কাপে ডেম্পো ম্যাচ ড্র। শুধু বিতর্ক আর বিতর্ক। এক লহমায় যেন সব কিছু ভ্যানিশ। শুধু চেন্নাইয়িন এফসি-কে চার গোলে হারানো। ব্যস, মুহূর্তের মধ্যে পুরো ইস্টবেঙ্গল দলটার পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। কোথায় পিছিয়ে থাকা! ডার্বির আগে ইস্টবেঙ্গলকে এখন ফেভারিট ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন সবাই। এর একটাই কারণ, স্রেফ ড্র করতে পারলেই মোহনবাগানকে সরিয়ে সুপার কাপের সেমিফাইনালে চলে যাবে ইস্টবেঙ্গল। তবে ডেম্পো বনাম চেন্নাইয়িন ম্যাচের দিকেও নজর রাখতে হবে। যদি শেষ পর্যন্ত সত্যিই ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচটা ড্র হয়।
এদিন টানা বৃষ্টির মধ্যে ফতোরদার মাঠে মোহনবান কোচ মোলিনা যখন পুরো দলটাকে নিয়ে প্র্যাকটিস করাচ্ছেন, ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো তখন ফুটবলারদের নিয়ে মাঠের ধারেকাছেও গেলেন না। আগেরদিনই ম্যাচ খেলতে হয়েছে চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে। এদিন তাই ফুটবলারদের ক্লান্তি কমানোর জন্য বৃষ্টির মধ্যে মাঠে না নিয়ে গিয়ে জিমে নিয়ে গেলেন। সেখানেই ফিজিক্যাল ট্রেনারের কাছে চলল রিকভারি সেশন। ঠিক হয়েছে, ডার্বিকে কেন্দ্র করে মাঠের ভিতর যা প্রস্তুতি হবে সব বৃহস্পতিবার সকালে প্র্যাকটিস মাঠে।
ডার্বির আগে দু'জন কোচের দৃষ্টিভঙ্গিই বলে দেবে, কোন দল কতটা চাপে রয়েছে। চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে ৪ গোলে জিতলেও ইস্টবেঙ্গল যে দারুণ খেলেছে, এরকমটা কেউ বলছেন না। এখনও খেলার গতি যথেষ্ট শ্লথ। একমাত্র ভালো দিক, ফুটবলাররা গোলের মধ্যে রয়েছেন। যা একটা ভাল অভ্যাস। সুপার কাপে চেন্নাইয়িন ম্যাচ জিতে অস্কার ব্রুজো তাই বলছেন, “ডার্বির জন্য আমরা তৈরি আছি। আর এটা সম্ভব হয়েছে, কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চলতে গিয়ে।"
মুখে না বললেও অস্কার নিজেও জানেন, সুপার কাপ শুরুর মুহূর্তে সন্দীপ নন্দী বিতর্ক কীভাবে পুরো দলের উপর ঝড় বইয়ে দিয়েছিল। আর তারপরেই ডেম্পোর বিরুদ্ধে জিততে না পারার জন্য তিনি রীতিমতো চাপে পড়ে গিয়েছিলেন। একটা চেন্নাইয়িন ম্যাচ জয় পুরো দলের পরিবেশই পরিবর্তন করে দিয়েছে। অস্কার বলছিলেন, "একটা জয় অনেক সময় যাবতীয় কঠিন পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসতে সাহায্য করে।" তবে অস্কার ভাল করেই জানেন, সুপার কাপের ডার্বিতে দল ব্যর্থ হলে ফের সমালোচনা শুরু হয়ে যাবে। ফলে চেন্নাইয়িন ম্যাচে চার গোলে জয় তিনি মুহূর্তের মধ্যে ভুলে যেতে চান। এমনকী ফুটবলারদেরও বোঝাচ্ছেন, যাতে সব কিছু ভুলে শুধুই ডার্বি ম্যাচ নিয়ে সবাই মনোসংযোগ করেন। ইস্টবেঙ্গলের মাথায় শুধুই ডার্বি। চেন্নাইয়িন এখন অতীত।
