দুলাল দে: আইএসএলের টেন্ডারের বিষয়ে আলোচনার জন্য শনিবার টেন্ডার কমিটির সঙ্গে ভার্চুয়ালি প্রশ্ন-উত্তর পর্বে বসেছিল বেশ কয়েকটি সংস্থা। টেন্ডারে আবেদন করার আগে তারা টেন্ডার কমিটির কাছে শর্তগুলি নিয়ে প্রশ্ন করার কথা ছিল। এদিন ভারচুয়ালি সেই মিটিংয়ে থাকার কথা ছিল জার্মানির স্পোর্টস ফাইভ, এফএসডিএল-সহ বেশ কয়েকটি কোম্পানির। কিন্তু সেখানে শেষ পর্যন্ত এফএসডিএল ছাড়া সেরকম কোনও পরিচিত কোম্পানি ছিল না। কলকাতার শ্রাচী স্পোর্টস থাকার কথা ছিল অন্য একটি কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হয়ে। কিন্তু তারাও এদিন ভার্চুয়ালি বৈঠকে উপস্থিত ছিল না। বরং এদিন নতুন কয়েকটি কোম্পানি টেন্ডারের শর্ত নিয়ে সাধারণ কিছু প্রশ্ন করেছে।
এফএসডিএল থাকলেও তারা কোনও প্রশ্ন করেনি। কারণ, আগের দিনই প্রায় ২০০টি পয়েন্ট উল্লেখ করে টেন্ডারের ব্যাখ্যা চেয়েছে তারা। সেই কারণেই তারা ভারচুয়াল বৈঠকে থাকলেও এদিন প্রশ্ন করেনি। তারা অপেক্ষায় রয়েছে ওই দুশোটি প্রশ্নের উত্তরের। যদিও এদিন টেন্ডার কমিটি এফএসডিএলের পাঠানো এই দু'শোটি প্রশ্নের উত্তরও দেয়নি এই বৈঠকে। এই দু'শোটি প্রশ্নের পিছনে এফএসডিএলের আইনি ব্যাখ্যাও রয়েছে।
ফেডারেশন যে টেন্ডার ডেকেছে তা সুপ্রিম কোর্টের কথামতো নতুন সংবিধানকে সামনে রেখে নিজেদের মতো পদ্ধতিতে প্রণয়ন করেছে। যে টেন্ডার কমিটির মাথায় রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নাগেশ্বর রাও। যে দু'শোটি প্রশ্ন এফএসডিএল করেছে তার উত্তর দিতে গেলে টেন্ডার কমিটিকে আইনি পরামর্শ নিতে হবে। সহজে এই দু'শোটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়, সময় লাগবে। সবচেয়ে বড় বিষয়, এফএসডিএল এখনই আইএসএলে অবনমন চাইছে না। এই বিষয়টির ব্যাখ্যা টেন্ডার কমিটি বা ফেডারেশন দিতে পারবে না। কারণ, অবনমনের বিষয়টির কথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই হিসাব মতো, আইএসএলের অবনমন চ্যাম্পিয়নশিপের এই নিয়মটির যদি পরিবর্তন করতে হয় তাহলে ফের এই নিয়মটির রিভিউ করতে হলে কোর্টের দ্বারস্থ হতে হবে। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না টেন্ডার কমিটি বা ফেডারেশন। দ্বিতীয়ত, এবার থেকে আইএসএল চালাবে গভর্নিং কাউন্সিল। অর্থ দেবে টেন্ডার থেকে আয়োজনের স্বত্ব যারা পাবে সেই সংস্থা। সেখানে যে বোর্ড গঠন হবে সেই বোর্ডে ফেডারেশনের প্রতিনিধি থাকবে তিনজন, টেন্ডার পাওয়া সংস্থার প্রতিনিধি থাকবে মাত্র একজন। এদিনের ভারচুয়াল বৈঠকে এফএসডিএলের ওই দু'শোটি প্রশ্ন বাদে অন্য কোনও বড় সংস্থাই খুব একটা প্রশ্ন করেনি। একপ্রকার আগ্রহই দেখায়নি। এফএসডিএল তখনই বিড করবে যখন তাদের এই প্রশ্নমালার সঠিক উত্তর তারা পাবে। দেখা যাচ্ছে, ৫ নভেম্বর আবার টেন্ডার জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। এই স্বল্প সময়ের মধ্যে দু'শোটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া খুবই কঠিন।
শনিবার রাতের খবর, টেন্ডার কমিটি দ্রুত এফএসডিএলের করা প্রশ্নগুলির উত্তরমালা তৈরি করতে শুরু করে জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৫ নভেম্বর। তার আগেই এফএসডিএলকে তাদের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সন্তুষ্ট করতে না পারলে তারা বিডে অংশগ্রহণ করবে না। শোনা যাচ্ছে, বার্ষিক ৩৭.৫০ কোটি টাকা নিয়ে ফেডারেশন ফুটবলের কোন খাতে খরচ করবে এফএসডিএলের তরফে এই ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়েছে। আরও একটি খবর, ফ্যান কোড'ও নাকি টেন্ডারে অংশ নেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে।
