স্টাফ রিপোর্টার: দুই দলই প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গিয়েছে আগেই। এশিয়ান কাপের যোগ্যতা নির্ণয়ের গ্রুপ পর্বের নিয়মরক্ষার ম্যাচে মঙ্গলবার মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত ও বাংলাদেশ। সুনীল ছেত্রীরা যখন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হোম ম্যাচ খেলেছিলেন তখন ভারতীয় দলের পরিস্থিতি এক রকম ছিল। আর মঙ্গলবার যখন ভারত একই দলের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে নামছে সেই ভারতীয় দলে একাধিক পরিবর্তন এসেছে।
প্রথম পরিবর্তন, হোম ম্যাচের সময় সন্দেশদের কোচ ছিলেন মানোলো মার্কুইজ। আর অ্যাওয়ে ম্যাচে কোচের চেয়ারে থাকবেন খালিদ জামিল। দ্বিতীয়ত, এই দলে নেই সুনীল ছেত্রী। এই দলে আবার নেই মোহনবাগানের কোনও ফুটবলার। যাঁদের অনেকেই অটোমেটিক চয়েস ভারতীয় দলে। আরও একটি দিক হল বাংলাদেশ নিয়ে আসা হয়েছিল রায়ান উইলিয়ামসকে। যিনি ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়ে জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। অস্ট্রেলিয়া ফুটবল সংস্থা থেকে ছাড়পত্র এসে গেলেও এএফসি এবং ফিফা থেকে রায়ান উইলিমাসের এনওসি এসে পৌঁছায়নি ফেডারেশনের হাতে। তাছাড়া সোমবার রাতের মধ্যেই দল জানিয়ে দিতে হত। স্বাভাবিকভাবে তাঁকে পাবেন না খালিদ। তবে রায়ানের বাংলাদেশে পা রাখার পর থেকেই তাঁর সঙ্গে বাংলাদেশের হামজা চৌধুরির দ্বৈরথের চর্চা শুরু হয়েছে বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমে। তার সঙ্গে, শেখ হাসিনার সাজা ঘোষণার পর বাংলাদেশ ফের অগ্নিগর্ভ। জানা গিয়েছে, কড়া নিরাপত্তায় রাখা হয়েছে ভারতীয় দলকে।
তাহলে এই ম্যাচে প্রেরণা কী হবে খালিদের কাছে? আগামীর কথা মাথায় রেখে নতুন করে জাতীয় দল গড়ে তোলাই অন্যতম লক্ষ্য খালিদের সামনে। এই দলে রয়েছেন ঋত্বিক তিওয়ারি, পরমবীর, লালরেমটুলুঙ্গা ফানাই, মহম্মদ সানান, বিকাশ ইউমনামের মতো একঝাঁক তরুণ। সেই দিক থেকে দেখলে এই ম্যাচে তরুণদের নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারেন খালিদ। যদিও হামজা চৌধুরির মতো ফুটবলারদের বিরুদ্ধে খুব বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গিয়ে খারাপ ফল হলেও সমালোচনায় বিদ্ধ হতে পারেন তিনি। এখন দেখার তিনি কোন পথে হাঁটেন। বাইশ বছর পর ঢাকার মাটিতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে ভারত।
আজ এএফসি কাপ যোগ্যতা নির্ণয় পর্বে
বাংলাদেশ বনাম ভারত
ন্যাশনাল স্টেডিয়াম, ঢাকা, সন্ধ্যা ৭.৩০
সরাসরি ফ্যান কোড অ্যাপে
