মোহনবাগান: ১ (দিমিত্রি পেত্রাতোস)
ওড়িশা: ০

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বক্সের ডানপ্রান্ত থেকে মনবীরের বাড়ানো বল। ওড়িশার গোলপোস্ট লক্ষ্য করে আড়াআড়ি শট দিমি পেত্রাতোসের। এবং গোল। এবং মোহনবাগান ডাগআউটে বাধভাঙা উচ্ছ্বাস, এবং যুবভারতীর ষাট হাজার মোহনবাগান সমর্থকের বাঁধনহারা আনন্দ। দিমি পেত্রাতোসের গোলে ওড়িশা এফসিকে হারিয়ে পরপর দুবার লিগ শিল্ড চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান।
মঞ্চ প্রস্তুত ছিল। খেতাব জয়ের মুহূর্ত চাক্ষুস করার আশায় যুবভারতীতে ভিড় জমিয়েছিলেন হাজার ষাটেক সবুজ-মেরুন সমর্থক। শুধু দরকার ছিল একটা গোলের। একটা গোল এক পলকে ষাট হাজার দর্শকের মুখে হাসি ফোটাবে। কিন্তু সেই গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হল একেবারে সংযুক্ত সময়ের জন্য। ম্যাচের ৯৩তম মিনিটে দিমি পেত্রাতোসের দুর্দান্ত শটে সেই কাঙ্ক্ষিত গোল এল। সঙ্গে এল বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস।
রবিবাসরীয় যুবভারতীতে ওড়িশা এফসিকে হারাতে পারলেই পরপর দুবার দেশের এক নম্বর লিগ জয়ের বিরল কৃতিত্ব অর্জন করে ফেলতে পারত মোহনবাগান। কিন্তু ঘরের মাঠে ওড়িশাকে হারাতে বেশ বেগ পেলেন স্টুয়ার্ট-ম্যাকলারেনরা। প্রতিপক্ষ হিসাবে মোহনবাগানকে বরাবরই ভুগিয়ে আসছে ওড়িশা। রবিবারও হুগো বুমোস, মোর্তাদা ফলরা ভোগালেন। এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিল মোহনবাগান। দুই উইংকে কাজে লাগিয়ে একের পর এক আক্রমণ শানানোর চেষ্টা করে গিয়েছে সবুজ-মেরুন শিবির। ওড়িশার তেকাঠি লক্ষ্য করে একের পর এক শটও শানানো হয়। কিন্তু গোল কিছুতেই আসছিল না। একটা সময় মনে হচ্ছিল, সবুজ-মেরুন সমর্থকদের অপেক্ষা বুঝি বাড়তে চলেছে। কর্কশ ড্র-ই বোধ হয় আজকের ম্যাচের ভবিতব্য। কিন্তু সেই আশঙ্কা দূর হল অতিরিক্ত সময় দিমির পায়ে।
জয়ের ফলে ২২ ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা এফসি গোয়ার ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেল মোহনবাগান। গোয়া শেষ ৩ ম্যাচ জিতলেও আর সবুজ-মেরুন শিবিরকে ছুঁতে পারবে না। অর্থাৎ দু ম্যাচ বাকি থাকতেই ফের ভারতসেরা মোহনবাগান। এই সঙ্গে আগামী মরশুমে ফের এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু-র জন্য যোগ্যতা অর্জন করে ফেলল মোলিনা ব্রিগেড।