চেন্নাইয়িন: ০
মোহনবাগান: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোহনবাগানের হলটা কী! একটা সময় যে দলটাকে অপ্রতিরোধ্য মনে হচ্ছিল, সেই সবুজ-মেরুনই যেন হঠাৎ লিগ লড়াইয়ে খোঁড়াতে শুরু করেছে। আগের ম্যাচে মোলিনা ব্রিগেড পয়েন্ট খুইয়েছিল জামশেদপুরের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সবুজ-মেরুন শিবির পয়েন্ট খোয়াল ১০ নম্বরে থাকা চেন্নাইয়িন এফসির বিরুদ্ধে। গোলশূন্যভাবে শেষ হল মোহনবাগান-চেন্নাইয়িন ম্যাচ।
ওপেন প্লে থেকে গোল আসছে না। দীর্ঘদিন ধরেই সমস্যাটা ভোগাচ্ছে সবুজ-মেরুন শিবিরকে। মাঝমাঠে ভালো পাসিং হচ্ছে। বল ফাইনাল থার্ডেও যাচ্ছে। কিন্তু গোল আসছে না। সেটাই এদিনও হল। সবুজ-মেরুন ফুটবলারা ৯৭ মিনিট সুযোগ পাওয়ার পরও চেন্নাইয়িনের তথাকথিত দুর্বল রক্ষণ ভাঙতে পারলেন না। বরং বিশালের দস্তানা না থাকলে হয়তো চেন্নাই থেকে শূন্য হাতে ফিরতে হত মোহনবাগানকে। যদিও চেন্নাইয়িনের রক্ষণকে আর দুর্বল বলা চলে না। মোহনবাগানের একসময়ের ঘরের ছেলে প্রীতম কোটালের যোগদানে অনেকটাই শক্ত হয়েছে 'সুপার মাচান'দের রক্ষণভাগ। এদিনও প্রীতমই যেন আটকে দিলেন সবুজ-মেরুনকে।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকে বলের দখল বেশি ছিল মোহনবাগানের দিকেই। কিন্তু প্রথমার্ধে একাধিক ভালো সুযোগ পায় চেন্নাইয়িন। মোহনবাগান যেমন গোলের মুখে সুযোগ হাতছাড়া করেছে চেন্নাইয়িনও তেমনটাই করেছে। তাছাড়া অন্তত গোটা দুয়েক ভালো সেভ করেছেন বিশাল কাইথ। উলটো দিকে গোলমুখে একাধিক সুযোগ নষ্ট করেছেন দিমি পেত্রাতোস, মনবীর সিংরা। আসলে মোহনবাগান ফুটবলারদের বেশ ক্লান্ত মনে হচ্ছে, নাকি খানিকটা আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন পেত্রাতোসরা? কারণ যা-ই হোক, দলের এই খেলায় মোটেই সন্তুষ্ট হতে পারবেন না সমর্থকরা।
মোহনবাগান পর পর দুম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট করায় জমে গেল লিগ শিল্ডের লড়াই। এই মুহূর্তে ১৭ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্টে সবুজ-মেরুন শিবির। দ্বিতীয় স্থানে থাকা গোয়া ১৬ ম্যাচে ৩০ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে।