স্টাফ রিপোর্টার: আইএসএলে পর পর দু’ম্যাচে হার। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা যতই কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের ব্যাপারে আপত্তি তুলুন, টিম ম্যানেজমেন্ট আপাতত কুয়াদ্রাতেই ভরসা রাখছে। টিম ম্যানেজমেন্টের বক্তব্য, গত মরশুমে ডুরান্ড কাপে রানার্স ও সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এই কুয়াদ্রাতকে ‘প্রফেসরে’র আসনে বসিয়েছিলেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। আইএসএলে প্রথম দু’টো ম্যাচে হারার পর গেল গেল রব তুলেছেন তাঁরাই।
ইস্টবেঙ্গল টিম ম্যানেজমেন্ট অবশ্য এখনই কুয়াদ্রাতের উপর থেকে ভরসা হারাতে রাজি নয়। তারা মনে করছে, ম্যাচের ফলাফলে ওঠা-নামা থাকেই। শুরুর দু’টো ম্যাচে ফল খারাপ হয়েছে বলে পরের খেলাগুলিতেও ফলাফল এমন হবে, এমন কোনও কথা নেই। টিম ম্যানেজমেন্টের প্রধান লক্ষ্য ছিল এই মরশুমে ভালো দল গড়া। সমর্থকরাই স্বীকার করেছেন, গত চার মরশুমের থেকে এবার ভালো দল গড়েছে ইস্টবেঙ্গল। একইসঙ্গে গত মরশুমে সাফল্য পাওয়া কুয়াদ্রাতকেও কোচ হিসাবে রেখে দেওয়া হয়েছে। ফলে তাদের বক্তব্য হল, টিম ম্যানেজমেন্ট ভালো ফলাফল করার জন্য মাঠের বাইরে থেকে সবরকম চেষ্টা করেছে। মাঠের ভেতর কোচ বা ফুটবলাররা কী করবেন, সেটা দেখা টিম ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার নয়। আপাতত দলের আভ্যন্তরীন ইস্যুতেও তারা ঢুকতে চাইছে না।
অন্যদিকে, শুক্রবার এফসি গোয়ার মুখোমুখি হওয়ার আগে চোট সমস্যা ক্রমেই চিন্তা বাড়াচ্ছে লাল-হলুদের স্প্যানিশ হেডস্যরের। বুধবারও অনুশীলন করলেন না প্রথম একাদশের অন্যতম তিন সদস্য দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকস, সল ক্রেসপো এবং মহম্মদ রাকিপ। তিনজনই এদিন বিকালে যুবভারতীর ট্রেনিং গ্রাউন্ডে হাজির হলেও অনুশীলন করেননি। সতীর্থদের অনুশীলন চলাকালীনই তাঁরা মাঠ ছেড়ে চলে যান।
সূত্রের খবর, দিয়ামান্তাকসের পেশিতে চোট লেগেছে। পুরোনো চোট পুরোপুরি সারার আগেই মাঠে নেমে সমস্যা বাড়িয়েছেন রাকিপ। আর ক্রেসপোর জ্বর সারেনি। ফলে তাঁরা এদিনও অনুশীলন করেননি। এই অবস্থায় গোয়া ম্যাচে তাঁদের খেলা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। শুক্রবার ঘরের মাঠে দলে বেশ কিছু পরিবর্তন করতে পারেন কুয়াদ্রাত। গোলকিপার দেবজিৎ মজুমদারকে দেখা যেতে পারে প্রথম একাদশে। এদিন অনুশীলনে তাঁকে আনোয়ার আলি, হেক্টর ইউস্তেদের সঙ্গে একই দলে রেখে খেলান কুয়াদ্রাত। পাশাপাশি ক্রেসপো একান্তই খেলতে না পারলে শুরু থেকে খেলতে পারেন পিভি বিষ্ণু।