মোহনবাগান: ১ (শুভাশিস)
জামশেদপুর: ১ (এজে)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডার্বির পরের ম্যাচে তিন পয়েন্ট আসে না। যদিও এই মরশুমেই প্রথম ডার্বির পর হায়দরাবাদকে হারিয়ে সেই মিথকে ভুল প্রমাণ করেছিল মোহনবাগান। কিন্তু জামশেদপুরে ফিরে এল ময়দানের প্রাচীন প্রবাদ। বরং সহজ ম্যাচ কঠিন করে ড্র করল মোলিনার দল। জামশেদপুরের বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়েও ৩ পয়েন্ট নিয়ে ফেরা হচ্ছে না তাদের। একের পর এক গোল মিস করলেন লিস্টনরা। অন্যদিকে মাঝমাঠ থেকে উঠে এসে গোল করে গেলেন জামশেদপুরের স্টিফেন এজে। ম্যাচ শেষ হল ১-১ গোলে। তবে ড্রয়ের পরও ১৬ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শীর্ষেই রইল মোহনবাগান।
জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ম্যাচের ৫ মিনিটের মধ্যেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ চলে এসেছিল মোহনবাগানের কাছে। কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারলেন না ডার্বির নায়ক ম্যাকলারেন। তার কিছুক্ষণ পরেই লিস্টনের ফ্রি-কিক অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। বল দখল থেকে গোলমুখে আক্রমণ, জামশেদপুরকে প্রায় কোণঠাসা করে রেখেছিল মোহনবাগান। ম্যাকলারেন-কামিংসরা বারবার উইং বদল করছিলেন। যার সুফল পাওয়া গেল ২৫ মিনিটে। কর্নার থেকে ভেসে আসা বল অলড্রেড নামিয়ে দিলেন। জটলার মধ্যেও গোল করতে ভুল করলেন না শুভাশিস। তারপর মহম্মদ সালাহর ঢংয়ে সেলিব্রেশন সবুজ-মেরুনের অধিনায়কের। অবশ্য, তারপর সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করেন কোলাসো, ম্যাকলারেনরা। নাহলে প্রথমার্ধেই ৩ গোলে এগিয়ে যাওয়া উচিত ছিল মোহনবাগানের। কখনও বা সামাল দিলেন জামশেদপুরের ডিফেন্ডার স্টিফেন এজে। প্রথমার্ধেই মোহনবাগানের শট ছিল ১২টি।
বিপদ বুঝতে পেরে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে একসঙ্গে তিনটি বদল করেন জামশেদপুরের কোচ খালিদ জামিল। সিভেরিও, লেন, মোবাশিরদের নামানোয় তাদের মাঝমাঠ খানিক সচল হয়। দুই উইং ক্রসের পরিমাণও বাড়ে। আর ৬০ মিনিটে পালটা আঘাত। এবার ডিফেন্স থেকে উঠে এসে গোল করে গেলেন এজে। নিজেদের বক্স থেকে একা বল টেনে নিয়ে গেলেন, মোহনবাগানের কোনও প্লেয়ার আটকাতেই পারলেন না। ৫ মিনিট পর কার্যত 'অদৃশ্য' কামিংসের বদলে নামলেন স্টুয়ার্ট। কিন্তু ততক্ষণে ম্যাচের রাশ অনেকটাই ধরে নিয়েছে জামশেদপুর। ক্রমশ চাপ বাড়তে থাকে মোহনবাগানের রক্ষণের উপর। পেত্রাতোস নামার অবশ্য কিছুটা চেষ্টা করলেন। লিস্টনের জোরাল শট সেভ করলেন জামশেদপুরের গোলকিপার আলবিনো গোমস। আলবার্তোর শটও লক্ষ্যভ্রষ্ট হল। শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলেই থামল দুদলের ম্যাচ।
এই ম্যাচের আগে জয়ের হ্যাটট্রিক করেছিল মোহনবাগান। জামশেদপুরে থামল মোলিনার দলের জয়রথ। লিগ টেবিলে যদিও শীর্ষে তারা। অন্যদিকে একম্যাচ কম খেলে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল জামশেদপুর। তবে মোলিনাকে চিন্তায় রাখবে, আক্রমণভাগের ফুটবলারদের গোল নষ্টের প্রবণতা। লিগ শিল্ডের কাছে পৌঁছতে গেলে এখন বেশ কিছু কঠিন ম্যাচ আছে। লক্ষ্য অর্জন না করা কিন্তু পরীক্ষা চলবে মোহনবাগানের।