প্রসূন বিশ্বাস: আগামী ১৯ জুলাই কলকাতা লিগের ডার্বি হবে কল্যাণীতে। যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটিয়ে জানিয়ে দিয়েছে আইএফএ। কিন্তু আইএফএ-র এহেন সিদ্ধান্তে অখুশি মোহনবাগান। এতে ডার্বির গুরুত্ব এবং জৌলুসে ভাটা পড়বে বলেই মনে করছেন সবুজ-মেরুন কর্তারা।
মঙ্গলবার মোহনবাগানের কার্যকরী কমিটির বৈঠকের পর কল্যাণীতে ডার্বি আয়োজন নিয়ে কার্যত বিরক্তিই প্রকাশ করেন মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বোস। দুই দলের তরুণ ব্রিগেড নামলেও বড় ম্যাচ তো বড় ম্যাচই। তাই যুবভারতী কিংবা বারাসত স্টেডিয়ামের বদলে ডার্বির মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ কল্যাণীতে আয়োজন করা ঠিক সিদ্ধান্ত নয় বলেই দাবি তাঁর। মোহনবাগান সচিব বলে দেন, "টাকা বাঁচানোর কথা ভেবে আইএফএ যুবভারতীতে ডার্বি করছে না। এত বছর পর নিশ্চয়ই আইএফএ-কে ডার্বির গুরুত্ব বোঝানোর প্রয়োজন নেই।" কল্যাণীতে ম্যাচ হলে মোহনবাগান সদস্যদের জন্য আদৌ কত টিকিট দেওয়া হবে, সে নিয়েও সন্দিহান ক্লাব কর্তারা। কারণ বড় ম্যাচে মাঠে বসে খুব বেশি হলে ১৫ হাজার দর্শক খেলা দেখার অনুমতি পাবেন।
কল্যাণীতে ডার্বি আয়োজন নিয়ে অখুশি মোহনবাগান সভাপতি দেবাশিস দত্তও। আইএফএ-কে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, দল কলকাতা লিগের ডার্বি খেলবে। তবে কোন দল নামানো হবে, তা নিয়ে সুপার জায়ান্টের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তাছাড়া ডার্বি নিয়ে যে উন্মাদনা থাকে, কল্যাণী স্টেডিয়ামে আয়োজনের কারণে তাতে অনেকটাই ভাটা পড়েছে বলে মনে করছেন তিনি।
সোমবারই আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত জানান, ১৯ জুলাই কল্যাণী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই প্রধান। চলতি মরশুমে কলকাতা লিগে অধিকাংশ ম্যাচ হয়েছে দুপুরে। তবে চেষ্টা করা হচ্ছে, ফ্লাডলাইটের আলোয় ডার্বি আয়োজন করার। সেক্ষেত্রে ডার্বি শুরু হতে পারে সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা থেকে। প্রথমে বারাসত স্টেডিয়ামে ম্যাচটি করতে চেয়েছিলেন আইএফএ সচিব। কিন্তু বারাসত স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ এই মাসের মধ্যে শেষ হবে না বলে জানিয়েছেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সেক্ষেত্রে বিকল্প ভেন্যু হিসেবে কল্যাণীই ছিল প্রথম পছন্দ। ইতিমধ্যে আইএফএ সচিব কল্যাণী স্টেডিয়ামে পরিদর্শন করে এসেছেন। নিরাপত্তাজনিত কিছু সমস্যা ছিল, সেগুলোরও সুরাহা হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কলকাতা লিগে আপাতত ৪ ম্যাচ খেলে মোহনবাগানের পয়েন্ট ৭।
