পুলিশ এসি ১ (মহম্মদ আমিল নঈম)
মোহনবাগান ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গতবার কলকাতা লিগে সুপার সিক্সে পৌঁছতে পারেনি মোহনবাগান। তাই এবার ঘরোয়া লিগে ভালো খেলার লক্ষ্য নিয়ে সোমবার পুলিশ এসি'র বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। এই পুলিশ এসির কাছেই গত মরশুমে ২-৩ গোলে হারতে হয়েছিল ডেগি কার্ডোজোর ছেলেদের। তাই বাগানের সামনে সুযোগ ছিল মধুর বদলা নেওয়ার। যদিও সেই সুযোগ হাতছাড়া করে ০-১ গোলে হেরে কলকাতা লিগ অভিযান শুরু করল গোষ্ঠ পাল সরণির ক্লাব।
যদিও শুরুটা খারাপ করেনি মোহনবাগান। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে সালাউদ্দিনের ক্রস রুখে দেন পুলিশ গোলরক্ষক সুরজ আলি। ৭ মিনিটে সেই সালাউদ্দিনের ফ্রিকিক ফের আটকে দেন সুরজ। এরপর খেলা তৈরির চেষ্টা করে পুলিশ। নিজেদের মধ্যে পাস খেলে সবুজ-মেরুন বক্সে উঠে আসার চেষ্টা করেন ফয়জলরা। ১৮ মিনিটে দূরপাল্লার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় পুলিশের।
২০ মিনিটে ফের ফ্রিকিক আদায় করে নেয় মোহনবাগান। দ্বিতীয় প্রয়াসে দলের পতন রোধ করেন পুলিশ গোলকিপার। পরের মিনিটেই চমৎকার বোঝাপড়া দেখা গেলেও কাজের কাজ কিছু করতে পারেননি পাসাং তামাং, সালাউদ্দিনরা। ২৪ মিনিটে সালাউদ্দিনের বাঁ-পায়ের দূরপাল্লার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তবে, ২৯ মিনিটে বিপদ বাড়তে পারত সবুজ-মেরুনের। যদিও এক্ষেত্রে ডিফেন্স সজাগ থাকায় বিপদ বাড়েনি। ৩০ মিনিটে পুলিশের ৬নং জার্সিধারীর দূরপাল্লার শটে গোল হয়নি। ৩৮ মিনিটে সুযোগ পেলেও মিস মোহনবাগানের। যদিও খেলার গতির বিরুদ্ধে গিয়ে ৪৬ মিনিটে ফ্রিকিক আদায় করে নেয় পুলিশ। সেখান থেকে মোহনবাগানের জালে বল জড়িয়ে দেন মহম্মদ আমিল নঈম। ১ গোলে পিছিয়ে প্রথমার্ধের বিরতিতে যায় মোহনবাগান।
দ্বিতীয়ার্ধে মোহনবাগানের লড়াই আরও কঠিন হয়ে পড়ে। যদিও ৪৮ মিনিটে একেবারে ফাঁকা গোল মিস করেন পাসাং দর্জি তামাং। ৫৬ মিনিটে ফের আক্রমণ পুলিশের। ব্যর্থ হন ফয়জল। এরপর পুলিশের ফুটবলাররাই ম্যাচের রাশ নিজেদের অনুকূলে রাখেন। এরমধ্যেই ৭১ মিনিটে নিশ্চিত পতন রোধ করেন মোহনবাগান গোলরক্ষক। এরপর বেশ কয়েকবার পুলিশের রক্ষণভাগে আক্রমণ চালালেও সমতায় ফিরতে পারেনি বাগান। ঘরোয়া লিগে নামার আগে সপ্তাহ দুয়েক অনুশীলনের সময় পেয়েছিলেন সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা। তাতে যা হওয়ার তাই হল। বাগান ফুটবলারদের মধ্যে এখনও সেভাবে বোঝাপড়াই লক্ষ্য করা গেল না। ফলস্বরূপ পরাজয় দিয়েই এবার লিগ অভিযান শুরু করতে হল মোহনবাগানকে।
