দুলাল দে: ডার্বির আগে চার গোল আত্মবিশ্বাস বাড়ল ইস্টবেঙ্গলের। তেমনই ডেম্পোর সঙ্গে ড্র করে আলোচনায় মোহনবাগান শিবির। প্রশ্ন উঠছে, কেন হঠাৎ করে প্রথম একাদশে একঝাঁক বদল আনলেন কোচ মোলিনা? ডার্বির আগে কতটা চাপে পড়লেন মনবীর-কামিংসরা?
যদিও এই ম্যাচে ডেম্পোর কাছে আটকে যাওয়ার পর যাঁরাই সমালোচনা করছেন দল নির্বাচনের, তাঁদের উদ্দেশে মোহনবাগান কোচের স্পষ্ট জবাব, তিনি মনে করেছেন ডেম্পোর বিরদ্ধে জয়ের জন্য যে দল নামানোর প্রয়োজন সেই দলই নামিয়েছেন। পেত্রাতোসরা একাধিক গোল মিস করেছেন। সেই ব্যর্থতার দায় শুধু ফুটবলারদের ওপর চাপিয়ে দেননি তিনি। বলেন "ডেম্পোকে হারানোর জন্য সেরা দলটাই নামিয়েছি। আজ ফুটবলাররা গোল মিস করেছে, পরিকল্পনা ঠিকমতো বাস্তবায়িত হয়নি। এটা আমার দোষ।" লিস্টন কোলাসোর না থাকাকে টেকনিক্যালি পরিবর্তন বলে উল্লেখ করেন মোহনবাগান কোচ।
অন্যদিকে, ডার্বিতেই প্রথমবার ফতোরদায় খেলবে ইস্টবেঙ্গল। সেখানে মোহনবাগান গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচ এই মাঠে খেলেছে। মাঠ ও পরিবেশ সম্পর্কে প্রতিপক্ষের থেকে সুবিধাজনক জায়গায় থাকবে তারা। কেন এমন সুবিধা দেওয়া হল মোহনবাগানকে? চেন্নাইয়িন ম্যাচের শেষে অস্কার বলেন, "এটা নিয়ে আমি আর কী বলব। সবাই বলছে এই কথা। সবাই জানে। অনুশীলন মাঠের অবস্থা থেকে ম্যাচের সম্প্রচার, আমাদের সব কিছু নিয়েই একই রকম ঘটনা ঘটছে। এর উপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ নেই। সব কিছুই ইস্টবেঙ্গলের বিপক্ষে যাচ্ছে। তবে এই প্রতিকূল পরিস্থিতিই আমাদের মানসিকভাবে শক্তিশালী করে তুলছে।"
চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে কার্যত 'ডু অর ডাই' ম্যাচে ফুটবলারদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজেরও প্রশংসা করেছেন লাল-হলুদ কোচ। এদিন কলকাতা থেকে আসা কয়েকজন ইস্টবেঙ্গল কর্তা সারা ম্যাচে উৎসাহ দিলেন মিগুয়েলদের। ৩১ অক্টোবর মুখোমুখি হতে চলেছে দুই প্রধান। নকআউটে যেতে গেলে ইস্টবেঙ্গলকে হারানো ছাড়া বিকল্প কোনও রাস্তা নেই মোহনবাগানের কাছে। অন্যদিকে, মোহনবাগানের বিরুদ্ধে জিততে বা ড্র করতে করতে পারলে নকআউটে পৌঁছে যাবে ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে, ডেম্পোর সামনেও নকআউটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে চেন্নাইয়িনকে ৫ গোলে হারাতে হবে তাদের। একই সঙ্গে ডার্বি ড্র হতে হবে।
