টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: মৃত বন্যপ্রাণীদের দেহাংশ পাচার রুখতে নয়া উদ্যোগ বনদপ্তরের। হাতির দাঁতের পর এবার হরিণের সিং পুড়িয়ে ফেললেন বনকর্মীরা। সোমবার বাঁকুড়ার (Bankura) বড়জোড়া শিল্প তালুকের একটি কারখানায় উচ্চ তাপমাত্রায় হরিণের ৬২ টি সিং পুড়িয়ে ফেলা হয়। চোরাকারবার রুখতে এই উদ্যোগ কার্যকর হবে বলেই আশাবাদী বনদপ্তর।
বড়জোড়া বনাঞ্চলে গত কয়েক বছর ধরেই জমা হচ্ছিল হরিণের সিং। নিজস্ব চিত্র।
বাঁকুড়ার বিভিন্ন জঙ্গল বণ্যপ্রাণ (Wild Animals) সমৃদ্ধ। জঙ্গলে হাতি, হরিণ ছাড়াও বিভিন্ন স্তন্যপায়ী প্রাণীর বসবাস। গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বাঁকুড়ার বিভিন্ন বন বিভাগে কমবেশি ৫৭ টি হাতির দাঁত জমা হয়েছিল। গত আট থেকে দশ বছর ধরে ধীরে ধীরে বাঁকুড়া দক্ষিণ বনবিভাগের গুদামে জমা হয়েছে ৬২ টি হরিণের সিং। সম্প্রতি বণ্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনে বনদপ্তরের (Forest Department) হাতে জমে থাকা এই ধরণের প্রাণীর দেহাংশ দ্রুত ধ্বংস করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: পাণ্ডুয়া বিস্ফোরণের নেপথ্যে পরকীয়া? জখম কিশোরের মায়ের গ্রেপ্তারিতে ঘনাল রহস্য]
এর পর ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের গোড়ায় বাঁকুড়া উত্তর, বাঁকুড়া দক্ষিণ ও বিষ্ণুপুর - এই তিনটি বনবিভাগের গুদামে মজুত থাকা হাতির মোট ৫৭ টি দাঁত উচ্চ তাপমাত্রায় ধ্বংস করে দেওয়া হয়। মজুত থাকা হরিণের সিং ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নেয় বনদপ্তর। সোমবার বনদপ্তরের তরফে বড়জোড়ার একটি বেসরকারি কারখানার চুল্লিতে উচ্চ তাপমাত্রায় ও কড়া নিরাপত্তার মধ্যে হরিণের ওই ৬২ টি সিং পুড়িয়ে (Burnt) ফেলা হয়। বনদপ্তরের দাবি, বণ্যপ্রাণীদের দেহাংশ নিয়ে চোরাকারবার রুখতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর নিয়মিত এভাবে দেহাংশ পুড়িয়ে ফেললে চোরাশিকারিদের (Poaching) বার্তা দেওয়া যাবে। জঙ্গলে ঢুকে বেআইনি কাজ করার সাহস পাবে না তারা।