সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফ্ল্যাটের অন্দরে মজুত করা পশুর চামড়া-হাড়-দাঁত-নখ। এমনকী, রয়েছে মানুষের মাথার খুলিও। নির্দিষ্ট সূত্রে খবর পেয়ে দমদম এলাকার এক তান্ত্রিকের বাড়িতে হানা দিতেই চক্ষু চড়কগাছ বনদপ্তর ও পুলিশ কর্তাদের। তান্ত্রিক পলাতক হলেও অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তন্ত্রচর্চার জন্যই কি এসমস্ত সামগ্রী মজুত করা হত ফ্ল্যাটে? জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
দমদমের নাগেরবাজারের কাছে প্রাইভেট রোডের আমবাগান এলাকার বাসিন্দা সৌরভ চৌধুরি। এলাকা সূত্রে খবর, জ্য়োতিষ, তন্ত্র চর্চা করতেন তিনি। বেআইনি সামগ্রী মজুত থাকার খবর পেয়ে বনদপ্তরের কর্মীরা তাঁর ফ্ল্যাটে হানা দেয়। সেখান থেকে হরিণের চামড়া, নখ, শিং, বাঘের নখ ও দাঁত, একাধিক পাখির দেহাংশ উদ্ধার হয়। তবে সেগুলি বনদপ্তর বাজেয়াপ্ত করেনি। মনে করা হচ্ছে, তন্ত্রচর্চার কাজেই এগুলি ব্যবহার করা হত। তবে মূল অভিযুক্ত সৌরভ ফেরার।
[আরও পড়ুন: হরিয়ানার পর উত্তরপ্রদেশ, গরু পাচারকারী সন্দেহে ট্রাকচালককে গুলি গোরক্ষকদের]
সৌরভের হদিশ না পেয়ে তাঁর বাবা রাখাল চৌধুরি, বন্ধু অরিজিৎ গুপ্ত ও পাশের একটি ফ্ল্যাট থেকে শিষ্য দুলাল অধিকারীকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, দুলাল এলাকার কেবল অপারেটর হিসেবে পরিচিত। তাঁর বাড়ি থেকেও পশু-পাখির দেহাংশ উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। পুলিশ ও বনদপ্তর সূত্রে দাবি, পারিবারিক অশান্তির জেরে সৌরভের স্ত্রী বেআইনি সামগ্রী মজুতের কথা জানিয়েছিলেন। তারপরই এই অভিযান। তবে তল্লাশি শুরু হতেই আত্মহত্য়ার চেষ্টা করেন সৌরভের স্ত্রী। আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।