সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবারই দেশ জুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছে তাঁর অনুগামীরা। পরের দিনই হাসপাতালে ভরতি করা হল ব্রাজিলের (Brazil) প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোকে। গত বছরের শেষ দিনেই ব্রাজিল ছেড়ে ফ্লোরিডায় পাড়ি দিয়েছিলেন অতি দক্ষিণপন্থী নেতা। জানা গিয়েছে, পেটের সমস্যায় ভুগছেন ব্রাজিলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। আপাতত ফ্লোরিডার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, ব্রাজিলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভবনে তাঁর অনুগামীরা তাণ্ডব চালানোর পর থেকেই দাবি উঠেছিল, ফ্লোরিডায় থাকার অনুমতি বাতিল করা হোক বলসোনারোর (Jair Bolsonaro)।
প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের স্ত্রী মিশেলে ইন্সটাগ্রামে জানিয়েছেন, “২০১৮ সালের নির্বাচনী প্রচারের সময়ে ছুরিকাহত হন বলসোনারো। তার প্রভাবেই পেটের সমস্যায় ভুগছেন তিনি। হাসপাতালে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন বলসোনারো।” ফ্লোরিডার অ্যাডভেন্ট হেলথ সেলিব্রেশন হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন তিনি। তবে হাসপাতাল সূত্রে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের শারীরিক অবস্থা নিয়ে কিছু জানানো হয়নি।
[আরও পড়ুন: প্রাণ কাড়ল শৈত্যপ্রবাহ! কানপুরে প্রবল ঠান্ডায় পাঁচ দিনে মৃত্যু ৯৮ জনের]
নির্বাচনে হার মেনে নিতে না পেরে ব্রাজিলের একাধিক প্রশাসনিক ভবনে তাণ্ডব চালায় প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের অনুগামীরা। রবিবার বিকেলে ব্রাজিলের পতাকা হাতে নিয়ে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলিতে হামলা হয়। দরজা-জানলা ভেঙে সুপ্রিম কোর্ট ও দেশের কংগ্রেস ভবনে ঢুকে সামরিক অভ্যুত্থানের দাবি জানায় উন্মত্ত জনতা। এই তাণ্ডবকে ফ্যাসিবাদী হামলার আখ্যা দিয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা (Lula Da Silva)। ব্রাজিলের এহেন ঘটনা মনে করিয়ে দিয়েছে মার্কিন ক্যাপিটলের হামলার ঘটনা।
ব্রাজিলের হামলায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গোটা ঘটনায় তিনি খুবই চিন্তিত বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে ব্রাজিল প্রশাসনের প্রতি পূর্ণ সমর্থনের বার্তাও দিয়েছেন। হামলার কড়া নিন্দা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। গণতন্ত্রের উপর হামলার তীব্র নিন্দা করে ব্রাজিলের মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি। একাধিক মহলে দাবি ওঠে, আমেরিকার ফ্লোরিডায় বলসোনারোর থাকার অনুমতি বাতিল করা হোক। তারপরেই হাসপাতালে ভরতি করা হয় ব্রাজিলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে। কতদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকবেন তিনি, তা অবশ্য জানা যায়নি।