সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবারই গ্রেপ্তার হতে পারেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এমনই আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। জোড়া মামলায় এদিন লাহোর হাই কোর্টে হাজিরা দেন ইমরান। সেখানেই একটি মামলায় জামিন পেলেন তিনি। যদিও অস্বস্তি পুরোপুরি কাটেনি। কারণ অন্য মামলার শুনানি এখনও ঝুলেই রইল।
ঠিক কী অভিযোগে ইমরানের গ্রেপ্তারি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল? পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের দপ্তরের বাইরে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। ইমরানকে আগামী ৫ বছরের জন্য নির্বাচনে লড়তে না দেওয়ার বিরুদ্ধেই তাঁর প্রতিবাদ। তিনি ও তাঁর দলীয় কর্মীদের এই অভিযানের পর থেকেই তৈরি হয়েছে ইমরানের গ্রেপ্তারির সম্ভাবনা। এদিন বেলা ২টোর মধ্যে লাহোর হাই কোর্টে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। বিচারক তারিক সেলিম নিজে থেকে তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালতে হাজিরার। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে পৌঁছাননি তিনি। অথচ জামিনের আবেদন জানাতেই হাজির হওয়ার কথা ছিল তাঁর। পরে সেই সময় বাড়ানো হয়। অতিরিক্ত সময়ের মধ্যে অবশ্য হাই কোর্টে পৌঁছান তিনি। দীর্ঘক্ষণ পর জানা যায়, এই মামলায় ৩ মার্চ পর্যন্ত তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হল।
[আরও পড়ুন: ‘ইউক্রেন একা নয়’, যুদ্ধের মাঝে আচমকা কিয়েভে এসে রাশিয়াকে হুঁশিয়ারি বাইডেনের]
এদিন হাই কোর্টে তাঁর আরও একটি শুনানি ছিল। ইমরানের আইনজীবী আশ্বাস দেন, সেই শুনানিতে হাজির হবেন ইমরান। পরে দেখা যায় সমর্থকদের স্লোগানের মাঝেই লাহোর হাই কোর্টে পা রাখেন তিনি। তাঁর উপর পুষ্পবৃষ্টিও করা হয়। যদিও হাই কোর্টের বাইরে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছিল বলেই খবর। প্রসঙ্গত, বিদেশি অনুদানের জন্যও তাঁকে গ্রেপ্তার করা হতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছিল।
বারবার আদালতের সামনে তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হলেও তিনি উপস্থিত হননি। তাঁর আইনজীবীরা ইমরানের শারীরিক পরিস্থিতির কথা বললেও বিচারপতিরা আর তাঁকে সময় দিতে চাননি। এই অবস্থায় দিন দুয়েক আগেই প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর লাহোরের বাড়ির সামনে প্রচুর পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর গ্রেপ্তারিতে বাধা দিতে সেখানে হাজির হয়ে যান তাঁর দল তেহরিক-ই-ইনসাফের কর্মী-সমর্থকরা। তৈরি করে ফেলেন ব্যারিকেড। তবে আবারও নির্বাচন কমিশনের সামনে বিক্ষোভ মামলায় স্বস্তি পেলেন তিনি।