সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফিরল সাড়ে চার বছর আগের শ্যাপেকোয়েন্সে (Chapecoense) ফুটবল ক্লাবের মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনার স্মৃতি। ফের দুর্ঘটনার কবলে পড়ল ব্রাজিলের (Brazil) একটি ফুটবল দল। রবিবার মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন সে দেশের চতুর্থ বিভাগের ক্লাব পালমাসের (Palmas) প্রেসিডেন্ট এবং চার জন ফুটবলার। এমনকী মারা গিয়েছেন বিমানটির চালকও। আর এই ঘটনাতেই ফের শোকের ছায়া নেমে এসেছে ব্রাজিল তথা গোটা ফুটবলবিশ্বে।
জানা গিয়েছে, ব্রাজিলিয়ান কাপের ম্যাচ খেলতে ৮০০ কিলোমিটার দূরে গোইয়ানিয়ায় যাচ্ছিল পালমাস দলটি। সেখানেই ভিলা নোভার বিপক্ষে আগামী মঙ্গলবার ব্রাজিলের ঘরোয়া কাপ টুর্নামেন্ট কোপা ভের্দের শেষ ষোলোয় খেলার কথা ছিল পালমাসের। এদিন ছোট ওই বিমানটিতে পাঁচজনই ছিলেন বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর। কিন্তু টেকঅফের সময়েই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে যায় বিমানটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ক্লাবের প্রেসিডেন্ট লুকাস মেইরা ও চার ফুটবলারের।
[আরও পড়ুন: সিডনিতে অজিদের সঙ্গে লিফটেও উঠতে দেওয়া হয়নি রাহানেদের! বিস্ফোরক অশ্বিন]
নিহত চার ফুটবলার – লুকাস প্রাসেদেস, গিলের্মে নো, রানুলে ও মার্কাস মলিনার। এছাড়া বিমানটির চালক ওয়াগনারও মারা গিয়েছেন দুর্ঘটনায়। একটি বিবৃতিতে পালমাস জানিয়েছে, “তোকানতিনেসে এভিয়েশন অ্যাসোসিয়েশনের রানওয়ে থেকে বিমানটি টেকঅফ করেছিল। কিন্তু একেবারে শেষ প্রান্তে গিয়ে সেটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।” খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। কিন্তু কাউকেই বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ঘটনায় রীতিমতো শোকের ছায়া নেমেছে ব্রাজিলের ফুটবলে। ঘটনায় বাকরুদ্ধ ফুটবলবিশ্বও। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা নন রোনাল্ডো! চেক ফুটবল সংস্থার টুইটে বিতর্ক]
এর আগে ২০১৬ সালের ২৮ নভেম্বর শ্যাপেকোয়েনসে ক্লাবের বিমান দুর্ঘটনা বিশ্ব ফুটবলকেই নাড়িয়ে দিয়েছিল। কোপা সুদামেরিকানা টুর্নামেন্টের ফাইনালে কলম্বিয়ার একটি ক্লাবের বিপক্ষে খেলার কথা ছিল তাঁদের। সে জন্য খেলোয়াড়-কোচ-কর্মকর্তা ও সাংবাদিক-সহ মোট ৭৪ জন বিমানটিতে উঠেছিলেন। ব্রাজিলের ভিরু-ভিরু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কলম্বিয়ার উদ্দেশে রওনাও দিয়েছিল লামিয়া-২৯৩৩ বিমানটি৷ কিন্তু আকাশপথেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সেটি। মারা যান অধিকাংশই। কপাল জোড়ে প্রাণে বাঁচেন তিন ফুটবলার এবং এক সাংবাদিক৷ যাঁরা বেঁচে ফেরেন তাঁদের দাবি, জ্বালানি কম থাকার কারণেই নাকি দুর্ঘটনা ঘটেছিল৷ বিষয়টি নাকি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েওছিলেন বিমানচালক৷ ওই ঘটনার পর ফের এদিন আরও একটি বিমান দুর্ঘটনা প্রাণ কাড়ল ফুটবলারদের।