সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পর্বতারোহণে গিয়ে ভাগ্য বদলে গেল এক পর্বতারোহীর (Mountaineer), নেপথ্যে অর্ধ শতকের বেশি পুরনো এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) দুটি বিমান দুর্ঘটনাই কী? তেমনটাই মনে করেন অনেকে। ব্যাপারটা কী?
২০১৩ সালে ফ্রান্সের ম ব্লাঁ পাহাড়ে (France’s Mont Blanc) ট্রেক করছিলেন এক ব্যক্তি। ট্রেকিংয়ের সময় বরফের নীচে চাপা পড়া একটি ধাতব বস্তুতে হোঁচট খান তিনি। বরফ সরিয়ে দেখেন, একটি প্রাচীন বাক্স। এরপরেই অবাক করা কাণ্ড। বাক্সের ডালা খুলে চক্ষু চড়কগাছ হয় পর্বতারোহীর। তিনি দেখেন, ওর ভেতরে রয়েছে চুনি, পান্না, মণিমুক্ত! তবে ইচ্ছে থাকলেও আট বছর আগেই সেই মূল্যবান রত্নের মালিক হতে পারেননি তিনি। কে হবে মালিক, তা নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও তার মধ্যে চলছিল সংঘাত। সম্প্রতি সেই সংঘাত মিটেছে। স্থানীয় প্রশাসন ও পর্বতারোহীর মধ্যে ভাগাভাগি হয়েছে রত্ন ভাণ্ডার।
[আরও পড়ুন: অজগরের মুখোমুখি একরত্তি মেয়ে! তারপর যা হল…]
[আরও পড়ুন: সোনার হার খেয়ে ফেলল গোমাতা, একমাস গোবর ঘেঁটেও মিলল না হদিশ]
উল্লেখ্য, ঠিক যেখান থেকে পর্বতারোহী মণিমুক্তের বাক্সটি খুঁজে পান সেখানেই আজ থেকে ৫০ বছরের বেশি আগে এয়ার ইন্ডিয়ার দুটি বিমান ভেঙে পড়েছিল। একটি দুর্ঘটনা ঘটে ১৯৫০ সালে, অন্যটি ১৯৬৬ সালে। অনেকেই মনে করছেন, রত্নভর্তি বাক্সটি পড়েছিল ওই দুটি বিমানের কোনও একটি থেকেই। দশকের পর দশক ধরে বরফের তলায় চাপা পড়েছিল যখের ধন! তবে ২৪ জানুয়ারি ১৯৬৬ সালের বিমান দুর্ঘটনাটিতে ওই রত্ন ভরতি বাক্সটি ছিল বলে মনে করেন অনেকেই। মুম্বই থেকে নিউ ইয়র্ক যাচ্ছিল ওই বিমানটি। মাঝপথে ম ব্লাঁ পাহাড়ে ভেঙে পড়ায় বিমানের ১১৭ জনের যাত্রীর মৃত্যু হয়। যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন ভারতের পরমাণু গবেষণার পথিকৃত বিজ্ঞানী হোমি জাহাঙ্গির ভাবাও।