সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহম্মদের ব্যঙ্গচিত্র বিতর্কে বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান (Pakistan)। লাগাতার হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৭ জনের। এহেন পরিস্থিতিতে ফরাসি নাগরিকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে তাদের পাকিস্তান ছাড়ার নির্দেশ দিল ইসলমাবাদের ফরাসি দূতাবাস।
[আরও পড়ুন: দেশে বাড়ছে সংক্রমণ, ভারত সফর কাটছাঁট করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন]
বৃহস্পতিবার, পাকিস্তানে থাকা ফরাসি নাগরিকদের উদ্দেশে পাঠানো একটি ইমেল বার্তায় ফ্রান্সের দূতাবাস সাফ বলেছে, “পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ফরাসি নাগরিক ও সংস্থাগুলিকে আপাতত দেশটি ছেড়ে চলে যাওয়ার আবেদন জানাচ্ছি আমরা। বাণিজ্যিক বিমানসংস্থাগুলির মাধ্যমে এ দেশ থেকে অন্যত্র যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।” প্রসঙ্গত, গত সোমবার থেকে দেশব্যাপী প্রতিবাদ শুরু করেছিল ‘তেহরিক-ই-লাবায়েক পাকিস্তান’ বা TLP। তাদের প্রধান সাদ হুসেন রিজভির গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেছিল তারা। টিএলপি আগে থেকেই সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ২০ এপ্রিলের আগেই পাকিস্তানের ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করতে হবে। সেই দাবি মানেনি ইমরান সরকার। সেখান থেকেই শুরু প্রতিবাদের।
ফ্রান্সের ‘শার্লি এবদো’-তে হজরত মহম্মদের ব্যঙ্গচিত্র আঁকাকে কেন্দ্র করেই তাদের প্রতিবাদ। ফ্রান্সের সঙ্গে সব রকম সম্পর্ক বন্ধ করতে চায় তারা। যদিও গত নভেম্বরেই ইমরান খানের ‘তহরিক-ই-ইনসাফ’ সরকার টিএলপির সঙ্গে চুক্তি করেছিল ওই ফরাসি রাষ্ট্রদূতের বহিষ্কারের ব্যাপারে সম্মতি জানিয়ে। তখন জানা গিয়েছিল, ফেব্রুয়ারির মধ্যেই এব্যাপারে পদক্ষেপ করবে সরকার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। সেই চুক্তির মেয়াদই শেষ হচ্ছে আগামী ২০ এপ্রিল। ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দলের প্রধান সাদ হুসেন রিজভিকে। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল টিএলপির বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে। অবশেষে তাদের নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি যে সব রাস্তা অবরুদ্ধ হয়েছিল তাকে খালি করা হয়েছে। তবে এখনও কিছু স্থানে প্রতিবাদীরা রয়েছে। তাদেরও শিগগিরি সরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পাক প্রশাসন। ধূসর তালিকা থেকে বেরনো হয়নি ইসলামাবাদের। এই পরিস্থিতিতে চরমপন্থী দলগুলির বিরুদ্ধে যে আরও কড়া হতে চাইছেন ইমরান।