শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: দীর্ঘদিনের প্রেম। কিন্তু বিবাহে অনীহা। শেষে বিয়ে করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন প্রেমিকাকে। কিন্তু এত সহজে ছাড়বার পাত্রী নন প্রেমিকাও। প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে তিনিও সটান প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধরনায় বসে পড়লেন। আর এই ধরনা ঘিরেই জমজমাট জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি এলাকা।
বৃহস্পতিবার সকালে ধূপগুড়ি ব্লকের কালিরহাটের বাসিন্দা শুভঙ্কর রায়। শালবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক তিনি। গত ৬ বছর ধরে তাঁর সঙ্গে কাঠুলিয়া এলাকার বাসিন্দা সংগীতা রায়ের সম্পর্ক ছিল। পেশায় তিনি বন সহায়িকা। দুজনের মধ্যে প্রেম থাকলেও বিয়ের কথা বেঁকে বসেন শুভঙ্কর।
[আরও পড়ুন: ‘সৌরভকে বলো রসগোল্লা-দই কিনে দিতে’, মহারাজের বাড়িতে ‘শাহী’ সফর নিয়ে মন্তব্য মমতার]
সংগীতা দেবীর দাবি, দীর্ঘ ছয় বছর ধরে শুভঙ্কর রায়ের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে তাঁর। এতদিন বিয়ে করবেন বলে রাজিও ছিলেন শুভঙ্কর। কিন্তু হঠাৎ পয়লা বৈশাখের দিন বিয়ে করবেন না বলে জানিয়ে দেন তিনি। এপ্রসঙ্গে সংগীতাদেবী বলেন, “আমাদের বাড়ি থেকে এর আগেও সামাজিক মতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে বেশ কয়েকবার শুভঙ্করের বাড়িতে আসা হয়। কিন্তু তাঁরা সময় চেয়েছিলেন।” এর পর গঙ্গা দিয়ে বহু জল গড়িয়ে গিয়েছে। এখন বিয়ে না করতে চাওয়ায় পাত্রের বাড়ির সামনে ধরনায় বসেছেন সংগীতাদেবী।
এদিকে শুভঙ্করের সঙ্গে সংগীতার সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন শিক্ষকের বাবা যামিনী মোহন রায়। তিনি বলেন,” ওদের বাড়ি থেকে এর আগে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল। ছেলের বিয়েতে মতও ছিল। কিন্তু জানি না এখন কী হয়েছে। আমরা বিয়ে দিতে রাজি।” এদিকে এবিষয়ে শুভঙ্কর রায়ের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।