সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: Google Pay’তে টাকা পাঠালে দিতে হবে বিশেষ চার্জ। সম্প্রতি সামনে এসেছিল এই খবর। কিন্তু ভারতীয় ব্যবহারকারীদের এবার আশার বাণী শোনাল গুগল (Google)। তাঁদের নয়া ঘোষণা, এই চার্জ দিতে হবে না। এই নিয়ম কেবলমাত্র মার্কিন নাগরিকদের জন্যই। বুধবার গুগলের তরফ থেকেই এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে।
নগদ লেনদেনের তুলনায় এখন অনেকেরই পছন্দ অনলাইনে টাকা দেওয়ানেওয়া। আর ডিজিটাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্মের মধ্যে ভারতে অন্যতম জনপ্রিয় এই ‘গুগল পে’। তবে সম্প্রতি গুগলের এই ডিজিটাল পেমেন্ট সংস্থা জানিয়েছিল, নতুন বছর থেকে ‘গুগল পে’ ব্যবহার করে টাকা পাঠাতে দিতে হবে চার্জ। এরপরই চিন্তায় পড়ে যান ভারতীয় ব্যবহারকারীরা। কিন্তু এদিন গুগলের এই ঘোষণায় কার্যত হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: ‘বারবার জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাত ভারতের’, ফের অ্যাপ নিষিদ্ধ করায় তোপ বেজিংয়ের]
সংস্থার তরফ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই চার্জ কেবলমাত্র আমেরিকান নাগরিকদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। আসলে ১ জানুয়ারি, ২০২১ থেকে গুগল পে ‘পিয়ার টু পিয়ার’ পেমেন্টের সুবিধা বন্ধ করতে চলেছে৷ এর বদলে সংস্থার পক্ষ থেকে এমন একটি সুবিধা দেওয়া হবে যাতে টাকা পাঠালেই তৎক্ষণাৎ পেয়ে যাবেন৷ ফলত টাকা পাঠাতে গেলেই ধার্য করা চার্জ দিতেই হবে৷
এছাড়া সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁদের ওয়েব অ্যাপটিও বন্ধ হচ্ছে৷ পরের বছর থেকে pay.google অ্যাপের মাধ্যমে টাকা পাঠানো যাবে না৷ টাকা পাঠাতে কেবল ‘গুগল পে’ অ্যাপই ব্যবহার করতে হবে৷
এদিকে আবার বড়সড় এক অভিযোগ উঠল Google Pay-র বিরুদ্ধে। টেক জায়ান্ট গুগলের (Google) এই পেমেন্ট অ্যাপ্লিকেশনটির বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কম্পিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া তথা CCI। অভিযোগ, অন্যায়ভাবে নিজেদের প্রভাবশালী অবস্থানের সুযোগ নিয়ে গুগল কার্যত গা-জোয়ারি করে টেক্কা দিতে চাইছে প্রতিযোগিতায় থাকা অন্য পেমেন্ট অ্যাপগুলিকে।
[আরও পড়ুন: আত্মনির্ভরতার পথে আরও একধাপ, টুইটারকে টেক্কা দিতে হাজির ‘স্বদেশি’ Tooter]
প্লে স্টোর ও অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের উপরে নিয়ন্ত্রণের সুযোগ নিয়ে Google Pay-কে সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছে গুগল। CCI-এর তরফে Google Pay-র বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে ৩৯ পাতার একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়, প্লে স্টোর পেইড অ্যাপস ও IAPs-এর ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ চার্জের বিষয়টিকে বাধ্যতামূলক করায় নিজেদের পছন্দমতো প্রসেসিং সিস্টেম বাছতে পারছেন না অ্যাপ ডেভেলপাররা।