সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্র সরকার GST সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছিল CAG রিপোর্টে। সেই অভিযোগ পত্রপাঠ খারিজ করল অর্থমন্ত্রক। একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কেন্দ্র জানিয়েছে, ২০১৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে রাজ্যগুলিকে জিএসটি বাবদ প্রাপ্য বকেয়া সম্পূর্ণ মেটানো হয়েছিল। এ নিয়ে কোনও আইন লঙ্ঘন করা হয়নি। নিয়ম মেনেই ‘কনসলিডেটেড ফান্ড অফ ইন্ডিয়া’য় সেসের অর্থ রাখা হয়েছিল। তবে এ নিয়ে রবিবার পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনও বিবৃত জারি হয়নি।
দ্য কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া’ বা ক্যাগের (CAG) রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ৪৭ হাজার ২৭২ কোটি টাকা জিএসটি কমপেনসেশন সেস ফান্ডে পাঠায়নি কেন্দ্র। বরং ‘কনসলিডেটেড ফান্ড অফ ইন্ডিয়া’ বা সিএফআইতে এই টাকা ফেরত দেয় সরকার। ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ দুই অর্থবর্ষের এই ঘটনা থেকে পরিষ্কার কেন্দ্র আইন লঙ্ঘন করেছে। শনিবার সেই অভিযোগ উড়িয় দেয় কেন্দ্র সরকার।
[আরও পড়ুন : কৃষকরাই আত্মনির্ভরতার আধার! ‘মন কি বাতে’ গল্পের ছলে কৃষি বিলের সুবিধা বোঝালেন মোদি]
অর্থ মন্ত্রক সূত্রের দাবি, আইন বলছে, কর এবং সেস বাবদ কেন্দ্রের সংগৃহীত পুরো টাকা প্রথমে ‘কনস্টিটিউশন ফান্ড অফ ইন্ডিয়া’য় জমা হয়। সেখান থেকেই বিলি বা বণ্টন হয়ে থাকে। মোট কত অর্থ সংগৃহীত হয়েছে, তা আর্থিক বছরের শেষে জানা যায়। সেই সূত্র ধরেই রাজ্যগুলিকে প্রদেয় ক্ষতিপূরণের থেকে যত বেশি অর্থ সংগৃহীত হয়, তা সাময়িক ভাবে ‘কনসলিডেটেড ফান্ড অফ ইন্ডিয়া’য় রাখা হয়। এই প্রক্রিয়া কোনওভাবেই জিএসটি সেসের আইনবিরোধী নয়। একইসঙ্গে অর্থ মন্ত্রক সূত্রে দাবি, দুই আর্থিক বছরে রাজ্যগুলির প্রাপ্য বকেয়া মিটিয়েছিল কেন্দ্র সরকার।
জিএসটি কম্পেনসেশন সেস অ্যাক্ট অনুযায়ী, সারা বছর যে জিএসটি সংগৃহীত হবে তা রাখা হবে জিএসটি কম্পেনসেশন ফান্ডে। ওই অ্যাকাউন্টটি পাবলিক অ্যাকাউন্ট হিসাবে গণ্য হয়। আইন অনুযায়ী, এই অ্যাকাউন্ট থেকে রাজ্যগুলিকে টাকা দেওয়া যাবে। তবে তা কেবলমাত্র তাদের রাজস্বে ঘাটতি পড়লেই।
[আরও পড়ুন : কূটনৈতিক দক্ষতাই ছিল হাতিয়ার! বাজপেয়ীর বহু মুশকিল ‘আসান’ করেছেন যশবন্ত]
The post জিএসটি আইন ভাঙেনি কেন্দ্র, CAG রিপোর্ট উড়িয়ে দাবি অর্থমন্ত্রকের appeared first on Sangbad Pratidin.