সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তেল ছাড়ুন। যতটা সম্ভব বেশি করে ঘি খান। রান্নার কাজে ঘি ব্যবহার করুন। এবার আমজনতাকে এমনটাই বলতে চলেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। শুধু স্বাস্থ্যের কথা ভেবে নয়। আবার ঠিক খাদ্যভ্যাস চাপিয়ে দেওয়ার মতো ব্যাপারও এটা নয়। কারণটা শুধুই অর্থনৈতিক।
আসলে কেন্দ্র সরকার চাইছে প্রতিবছর তেল আমদানি করতে যে বিরাট অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা ভারতকে খরচ করতে হয়, সেটা বন্ধ করতে। শুধু তাই নয়, বিগত কয়েক বছরে দেশে দুগ্ধ উৎপাদনও বেড়েছে। তুলনায় দুগ্ধজাত শিল্পে বিশেষ উন্নতি নেই। দুগ্ধজাত শিল্প বলতে শুধু গুঁড়ো দুধ, মাখনের মতো গুটিকয়েক বিকল্প রয়েছে। আরও মুশকিল হয়, এই দুধ বা দুগ্ধজাত দ্রব্যগুলির বিদেশেও তেমন চাহিদা নেই। কেন্দ্র চাইছে দেশজুড়ে ঘিয়ের ব্যবহার বাড়ুক। সেটা হলে দুগ্ধজাত শিল্পের বাজার বদলে যাবে।
[আরও পড়ুন: ‘বিজেপি নেতারা মুখ্যমন্ত্রীর কাপড় খুলে দেবে’, ফের ‘কুকথা’ দিলীপের মুখে]
আসলে ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত সরকার বছরে ৭০০ মেট্রিক টন দুধ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। সেই লক্ষ্য দুগ্ধ উৎপাদনকারী পশুর সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। এই মুহূর্তে প্রত্যেক ভারতীয়র মাথাপিছু দিনে ৪৪৪ মিলিলিটার দুধ উৎপাদন হয় ভারতে। ২০৪৭ সাল পর্যন্ত সেটাকে মাথাপিছু ১লিটার করার টার্গেট নিয়েছে মোদি সরকার। সমস্যা হল, দুধের উৎপাদন বাড়লেও চাহিদা বাড়েনি। আবার রপ্তানিও সে অর্থে নেই। ফলে যে বাড়তি দুধ থেকে যাচ্ছে, সেটাকে হয় মাখন, নাহয় মিল্ক পাউডারে পরিণত করতে হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: বাম আমলের চিংড়িঘাটা ফ্লাইওভারের নকশায় গলদ, বিপদের আশঙ্কায় ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত পুরসভার]
সরকার চাইছে আমজনতার মধ্যে ঘি-কে আরও জনপ্রিয় করতে তাতে দু’দিক থেকে অর্থনীতির ফায়দা। এক, সয়াবিন তেল বা পাম তেল আমদানির খরচ কমবে। দুই, ঘি উৎপাদনের ফলে দেশের দুগ্ধজাত শিল্পের উন্নতি হবে। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই পশুপালকদের বিরাট ছাড় দেওয়ার ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। আবার আমজনতাকেও উৎসাহ দেওয়া হবে ঘি খেতে।