সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তীব্র বিরোধিতায় নতুন পলিসি কার্যকর করার দিনক্ষণ পিছিয়ে দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)। এর মাঝেই মেসেজিং অ্যাপ সংস্থার প্রধানকে চিঠি দিল কেন্দ্র সরকার। যাতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ভারতীয় ইউজারদের জন্য এই পলিসি বন্ধ করা হোক। পাশাপাশি, এই মেসেজিং অ্যাপে ইউজারদের তথ্য কতটা সুরক্ষিত, তাও জানতে চেয়েছে কেন্দ্র।
ইউজারদের জন্য নতুন প্রাইভেসি পলিসি (Privacy Policy) আনছে হোয়াটসঅ্যাপ। ৮ ফেব্রুয়ারি নয়া পলিসি কার্যকর করার কথা ছিল। তীব্র বিরোধিতার মুখে সেই দিনক্ষণ তিন মাস পিছিয়ে দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। এর মাঝেই ইউজারদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত কেন্দ্র। সে সম্পর্কে জানতে হোয়াটসঅ্যাপ প্রধানকে দেওয়া চিঠিতে একগুচ্ছ প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কী বলা হয়েছে সেই চিঠিতে?
[আরও পড়ুন : চাপের মুখে পিছু হটল হোয়াটসঅ্যাপ, প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে নয়া ঘোষণায় স্বস্তি ইউজারদের]
প্রথমেই বলা হয়েছে, ভারতীয় ইউজারদের জন্য এই প্রাইভেসি পলিসি যেন কার্যকর না হয়। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে, হোয়াটসঅ্যাপের তথ্য সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কেন্দ্র। ইউরোপ ও ভারতের ইউজারদের জন্য আলাদা আলাদা প্রাইভেসি পলিসি ব্যবহার করা হচ্ছে। এই আচরণকে ‘বিভেদমূলক’ বলে চিহ্নিত করেছে কেন্দ্র। তাঁদের কথায়, ভারত হোয়াটসঅ্যাপের সবচেয়ে বড় বাজার। অথচ এ দেশের ইউজারদের সম্মান দিচ্ছে না তাঁরা। একইসঙ্গে কেন্দ্রের হুঁশিয়ারি, ভারতীয় ইউজারদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। উল্লেখ্য, আর আগে ভারতীয়দের তথ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একাধিক চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র। এদিকে নয়া প্রাইভেসি পলিসি গ্রহণ করা বাধ্যতামূলক করেছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। এ নীতিরও বিরোধিতা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
নয়া প্রাইভেসি পলিসির শর্ত মেনে না নিলে ৮ ফেব্রুয়ারির পর ডিলিট হয়ে যাবে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট। সম্প্রতি এ বার্তাই দিয়েছিল মার্ক জুকারবার্গের সংস্থার এই মেসেজিং অ্যাপ। এমনকী এও জানা যায়, এর পলিসির শর্ত না মানলে ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্যও ফাঁস হয়ে যেতে পারে। যা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন ইউজাররা। রাতারাতি পড়তে থাকে অ্যাপের জনপ্রিয়তা।
[আরও পড়ুন : ভরসা জিততে ব্যর্থ WhatsApp, এবার গুগল সার্চেই মিলছে ইউজারদের মোবাইল নম্বর!]
ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপের তরফে জানানো হয়, প্রাইভেসি পলিসি বদলালেও ব্যবহারকারীদের তথ্য গোপনই থাকবে। এ নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। কিন্তু তাতেও তাঁদের ভরসা পেতে ব্যর্থ হয় অ্যাপটি। ফলে শেষমেশ জানিয়ে দেওয়া হয়, আপাতত কোনও পলিসি আপডেট হচ্ছে না। আগের মতোই ব্যবহার করা যাবে হোয়াটসঅ্যাপ। এর মাঝে অ্যাপ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিল কেন্দ্রীয় সরকা।