তরুণকান্তি দাস: ভাগাড় কাণ্ড অতীত। মন দিন মাংসে। ভয়কে ভাগাড়ে পাঠিয়ে হেঁশেল ভরে তুলুন কষা মাংসের সুগন্ধে। খাসি বা চিকেন, কোই বাত নেহি। তবে পাতে মাংস যেন ব্রাত্য না হয়ে যায়। শিগগিরই রাজ্যবাসীকে এ কথা শোনাতে আসছেন দেব ও কোয়েল।
বুধবার এ সিদ্ধান্তই নিয়েছে সরকার। মূল্যবৃদ্ধি রুখতে এদিন বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যরাও। তাঁদের কাছে মাংস বিক্রেতারা অভিযোগ জানিয়েছিলেন যে, ভাগাড় কাণ্ডের আতঙ্কে মাংস বিক্রির হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছে। এই আতঙ্ক কাটাতেই এবার সচেতনতা ছড়ানোর উদ্যোগ নিল প্রশাসন। যার মুখ হবেন অভিনেতা দেব ও অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক।
[ মাধ্যমিকে নজরকাড়া ফল কোচবিহারের, প্রথম দশে কতজন জানেন? ]
মাসখানেক আগেই ফাঁস হয় ভাগাড় কাণ্ড। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজের একটি ভাগাড় থেকে মাংস সরাসরি পাচার হচ্ছিল কয়েকটি হোটেলে। পুরসভার এক কর্মীও এর সঙ্গে জড়িত বলে জানা যায়। যদিও কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়ে। জানা যায়, শুধু একটা জায়গা নয়, এ চক্রের শিকড় ছড়িয়েছে গোটা শহরেই। পুরসভার এক দেওয়ালে থাকা নিউ মার্কেটই ছিল পচা মাংস পাচারের অন্যতম কেন্দ্র। সেখান থেকেই বিভিন্ন হোটেলে তা পাচার হত। তদন্তে নেমে বিশ্বনাথ ঘোড়ুই ওরফে মাংস বিশুর সন্ধান পায় পুলিশ। ভাগাড় কাণ্ডের মূলচক্রী ছিল সে। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু আতঙ্ক কাটছে না সাধারণ মানুষের। ভাগাড় কাণ্ড সামনে আসার পর থেকেই মাংস থেকে মুখ ফিরিয়েছেন আম বাঙালি। কেউ কেউ ঝুঁকেছেন মাছে, কেউ একেবারে আশ্রয় নিয়েছেন নিরামিষে। এদিকে এই প্রবণতার জেরে মারাত্মক সমস্যায় পড়েছেন মাংসবিক্রেতারা। বিশ্বাস কমে যাওয়ার কারণে বিক্রিও কমেছে। বিভিন্ন রেস্তরাঁর পক্ষ থেকেও এ নিয়ে প্রতিবাদ করা হয়েছিল। ভাগাড় কাণ্ডের জেরে মুড়ি-মুড়কিকে এক দরে ফেলছেন মানুষ। ফলে যাদের সঙ্গে এই কাণ্ডের কোনও সম্পর্ক নেই, তারাও মার খাচ্ছে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতেই এগিয়ে এল প্রশাসন। মাংস খাওয়া যে ক্ষতিকর নয়, ভাগাড় কাণ্ড যে রাজ্যে অতীত তাইই এবার প্রচারের মাধ্যমে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। আর সে প্রচারের ব্যাটন হাতে তুলে নেবেন জনপ্রিয় জুটি দেব-কোয়েল।
[ রোজা ভেঙে রক্তদান, বনগাঁয় মানবিকতার নজির মুসলিম যুবকদের ]
The post নির্ভয়ে মাংস খান, ভাগাড়ের আতঙ্ক ভোলাতে এবার আসরে দেব-কোয়েল appeared first on Sangbad Pratidin.