রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: এবার দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2023) অনুমতি নিয়েও তরজায় জড়াল রেলদপ্তর ও আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল নেতা তথা শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তীর অভিযোগ রেলের এলাকায় দুর্গাপুজোর অনুমতি দিচ্ছে না। উলটে রেলের দাবি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হিসেবে ওই জায়গার আবেদন জানানো হলে তার অনুমতি দেওয়া হবে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশন।
উল্লেখ্য, আলিপুরদুয়ার জংশন (Alipurduar Junction) রেল ডিভিশনের হেড কোয়ার্টারটি আলিপুরদুয়ার জংশনে অবস্থিত। সদর দপ্তর হওয়ার দরুণ আলিপুরদুয়ার জংশনে রেলের ডিআরএম অফিস, রেল কর্মীদের কোয়ার্টার, রেলের জোনাল ট্রেনিং সেন্টার-সহ বিভিন্ন পরিকাঠামো নিয়ে রেলের বড় এলাকা রয়েছে। এই এলাকায় ২০টির বেশি দুর্গাপুজো হয়। রেল (Indian Railways) এলাকায় দুর্গাপুজো করতে হলে রেলের অনুমতি প্রয়োজন হয়। প্রতি বছর উদ্যোক্তারা রেলের অনুমতি নিয়েই ওই এলাকায় দুর্গাপুজো করেন। কিন্তু এবার পূজা হিসেবে অনুমতি চাইলে রেল পুজোর অনুমতি চাইলে তা দেওয়া হচ্ছে না। এমনই অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল নেতা সৌরভ চক্রবর্তী।
[আরও পড়ুন: গুটিসুটি মেরে বিমানের ইকোনমি ক্লাসে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা! ‘অব্যবস্থা’ নিয়ে ক্ষোভ বেয়ারস্টোদের]
তিনি বলেন, “সম্প্রতি রেলের তরফে একটি একটি নির্দেশ জারি করা হয়েছে। সেই নির্দেশে বলা হয়েছে, এবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হিসেবে দুর্গাপুজোর অনুমতি চাইতে হবে। রেল বোর্ডের কাছে এই অনুমতিপত্র পাঠাতে হবে। রাজ্য সরকার যেখানে পুজোর অনুদান দিয়ে ক্লাবগুলোকে সাহায্য করছে সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের রেল দপ্তর দুর্গাপুজো নিয়ে এমন নির্দেশ জারি করেছে। এই নির্দেশ দেখেই বোঝা যাচ্ছে, দুর্গাপুজো নিয়ে কে কতটা আন্তরিক। আমরা রেলের এই নির্দেশিকার তীব্র বিরোধিতা করছি। এই নির্দেশ রেলকে প্রত্যাহার করতে হবে।”
[আরও পড়ুন: স্বচ্ছ ভারত অভিযানের নেতৃত্বে মোদি, ঝাড়ু হাতে নামলেন ময়দানে]
বিষয়টি নিয়ে রেলের আলিপুরদুয়ার জংশন ডিভিশনের ডিআরএম (DRM) অমরজিত গৌতমকে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন তোলেননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্য এক রেলের আধিকারিক বলেন, “প্রতি বছরের মতো এবারও দুর্গাপুজোর অনুমতি দেওয়া হবে। কোনও সমস্যা হবে না।”