shono
Advertisement

সবুজ বাজিতে এখনও মেলেনি ছাড়পত্র, কালীপুজোর আগে প্রবল সমস্যায় ব্যবসায়ীরা

ক্রেতা থাকলেও এবছর বিক্রি যথেষ্টই কম বলে খবর।
Posted: 09:02 PM Oct 20, 2022Updated: 09:02 PM Oct 20, 2022

দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: কালীপুজো (Kali Puja), দীপাবলিতে পরিবেশ দূষণ রুখতে ও ভারসাম্য বজায় রাখতে সবুজ বাজির (Green Cracker) উপরে জোর দিয়েছেন পরিবেশবিদরা। কিন্তু সঠিক প্রশিক্ষণ এবং দপ্তরের ছাড়পত্র না আসার কারণেই আপাতত পুরনো বাজিতেই আটকে থাকছেন বাজি ব্যবসায়ীরা। বলা যেতে পারে, পুরানো বাজিতেই বাজি ধরেছেন তারা।

Advertisement

গত দু’বছর ধরে করোনার প্রকোপে বসেনি বাজি বাজার। ভিন রাজ্যে থেকে জেলা ও শহরতলিতে যে বাজি রপ্তানি হয়, তাও ছিল হাতে গোনা। মহামারীর জেরে পরপর দু’বছর তাই দীপাবলিত অন্ধকারাচ্ছন্নই ছিল চম্পাহাটির হাড়ালের বাজি বাজার। সেই প্রকোপ কাটিয়ে এবার ফের আলোকময় হতে চলেছে এই এলাকা। রাস্তার দু’পাশে বসতে শুরু করেছে ছোট-বড় হাজারও বাজির দোকান। ক্রেতা থাকলেও বিক্রিবাটা যথেষ্টই কম। তবে দীপাবলির আগে বিক্রি বাড়বে, এমনটাই আশা ব্যবসায়ীদের। সবমিলিয়ে পুরনো ছন্দে ফিরেছে চম্পাহাটির হাড়ালের বাজি ব্যবসা।

[আরও পড়ুন: ‘কাজ না করে কথা বলা কিছু লোকের অভ্যাস’, নাম না করে সৌমিত্রকে তোপ সুকান্তর]

দাম বেড়েছে প্রতিটা জিনিসের। শুধু তাই নয় সেই দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বাজি শ্রমিকদের মজুরিও। এবার তাই প্রতিটা বাজি বাজারে বাজির দাম যে বাড়বে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। চম্পাহাটির হাড়ালে বাজিবাজারে গিয়ে দেখা গেল সেই একই চিত্র। প্রতিটি বাজির দাম প্রায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ হারে বাড়তে শুরু করেছে। তার উপরে প্রায় প্রতিটি এলাকায় চলছে পুলিশি ধরপাকড়। বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে শব্দবাজি। সবুজ বাজি বা রংমশালের উপর জোর দিলেও তা সঠিক প্রশিক্ষণের অভাবে মার খাচ্ছে ব্যবসায়ীরা।

এ বিষয়ে বাজি ব্যবসায়ী ভানুরাম মণ্ডল বলেন, “বাজির বাজারে তেমন ব্যবসা নেই। বাইরের বাজিও ঢুকছে প্রচুর পরিমাণে। বিশেষ করে চায়না বাজিও ঢুকে পড়ছে। তাছাড়া শিবকাশীর বাজিও আছে। তাই এলাকার বাজি চাহিদা বাড়াতে আমরা চেষ্টা করছি যতটা কম পয়সায় বিক্রেতাদের হাতে বাজি তুলে দেওয়া যায়। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের বাজারে তা পেরে ওঠা যাচ্ছে না। তাছাড়া আমাদের এলাকার কারিগররা মূলত শব্দবাজির জন্যই বিখ্যাত। কিন্তু শব্দ বাজিয়ে ব্যবসা বন্ধ। তাই কিছুটা সমস্যায় আছে বাজি ব্যবসায়ীরা।”

পরিবেশ আদালতে বেশ কিছুদিন যাবৎ শব্দবাজি ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়েছে রাজ্যে। শব্দবাজি ব্যবহার নিষিদ্ধ হতেই ধরপাকড় বেড়েছে পুলিশের। তার সত্বেও লুকিয়ে চুরিয়ে শব্দবাজির ব্যবসা। এবার শব্দবাজি থেকে সবুজ বাজিতেই জোর দিতে চাইছে ব্যবসায়ীরা। কিন্তু নামমাত্র প্রশিক্ষণে তা সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে চম্পাহাটি হাড়াল আতসবাজি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুধাংশু দাস বলেন, একটা মাত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে আমাদের বাজি কারিগরদের। আরও প্রশিক্ষণ ছাড়া সুনিপুণ শব্দবাজি থেকে আতসবাজি বা রংবাজি বানানো সম্ভব নয়। শুধু তাই নয় পরিবেশ দপ্তরের যে ছাড়পত্র তাও এখনো এসে পৌঁছায়নি আমাদের কারখানাগুলোতে। এর ফলে সেই বাজি বিক্রি করা ও সমস্যায় দেখা দিয়েছে। পরিবেশ দপ্তরে ছাড়পত্র ছাড়া বাজি বিক্রি করা আইনত অপরাধ। তাই পুরানো যে সমস্ত আমাদের বাজি ছিল সেগুলোই আমরা তৈরি করছি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার