সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘পাশবিক’ কথাটা প্রায়ই চূড়ান্ত নিষ্ঠুরতাকে প্রকাশ করতে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু মানুষের মতো নির্মমতা কি সত্যিই পশুরা দেখাতে পারে? উলটে তাদেরই শিকার হতে হয় চূড়ান্ত অমানবিক আচরণের। তেমনই এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে গুজরাটের (Gujarat) বদোদরাতে। একটি কুকুরকে (Dog) লোহার রড দিয়ে প্রচণ্ড মারার পরে তাকে স্কুটারে বেঁধে ৫০০ মিটার টেনে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল এক তরুণের বিরুদ্ধে। পশু অধিকারকর্মীদের সংগঠনের এক কর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঠিক কী হয়েছিল? বৃহস্পতিবার রাতে এলাকার ওয়ার্ড অফিসের সামনে একটি কুকুরকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার সারা শরীর রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। বিশেষ করে মাথায় গুরুতর চোট ছিল। এমনকী, তার একটি দাঁতও ভেঙে গিয়েছিল। স্থানীয় জনতা ওই অবস্থায় কুকুরটিকে দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি তাকে পশু হাসপাতালে নিয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: মাসে ১০০ কোটির তোলাবাজি! মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে সরব বিজেপি]
কুকুরটিকে হাসপাতালে ভরতি করার পাশাপাশি খোঁজ নেওয়া শুরু হয়, তার এই দশা কে করল। তখন প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, অভিযুক্ত ইজাজ শেখ একটি বেল্ট দিয়ে কুকুরটিকে বেঁধে তাকে বেধড়ক মারতে থাকে লোহার রড দিয়ে। পরে তাকে স্কুটারের সঙ্গে বেঁধে ওই অবস্থাতেই ৫০০ মিটার টেনে নিয়ে যায়। পরে তাকে রাস্তার ধারে ফেলে পালিয়ে যায় সে।
এরপরই তার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন এক পশুপ্রেমী সংগঠনের কর্মী। পশুকল্যাণ আইনে ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরে তাকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু কোন ‘অপরাধে’ এমন ভয়ংকর শাস্তি পেতে হল অসহায় সারমেয়টিকে? তা এখনও জানা যায়নি বলে জানিয়েছেন অভিযোগ দায়ের করা দয়ানন্দ ত্রিবেদী। তাঁর কথায়, ”ওই কুকুরটি বহু দিন ধরেই এলাকায় ঘুরে বেড়ায়। অনেকেই তাকে খেতে দেয়। কেউই বলতে পারছে না কেন তাকে এভাবে মারল শেখ।”