সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ সমাজ কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার দিকে এগিয়ে গেলেও কয়েনের উলটো পিঠের মতোই আরেক দিকে এখনও অন্ধকার। যেখানে জাতপাতের নামে এখনও কঠোর শাস্তি দেওয়া হয় সাধারণ মানুষকে। তেমনই এক করুণ ছবি ধরা পড়ল গুজরাটের গ্রামে। যেখানে ভাগ্নে ক্রিকেট বলে হাত দেওয়ায় শাস্তি পেতে হল দলিত মামাকে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনা গত রবিবারের। গুজরাটের পটান জেলার কাকোশি নামের এক গ্রামের স্কুলে চলছিল ক্রিকেট ম্যাচ। মাঠের এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে সেই খেলা দেখছিল এক দলিত কিশোর। বাউন্ডারি লাইনে বল আসতেই ওই কিশোর তা তুলে আবার খেলোয়াড়দের দিকে ছুঁড়ে দেয়। আর তারপরই শুরু যাবতীয় জটিলতা। দলিত ছেলে ক্রিকেট বলে হাত দিতেই তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে সেখানে উপস্থিত বেশ কয়েকজন। এমন কাণ্ড ঘটানোর জন্য তাঁকে রীতিমতো হুমকি দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: বুধবার থেকে ফের চলবে অভিশপ্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেস, দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু সিবিআইয়ের]
এখানেই থামেননি গ্রামের উঁচু জাতের লোকেরা। দলিত সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন তাঁরা। এই কিশোরের মাধ্যমে ইচ্ছাকৃত ভাবে উঁচু জাতের লোকেদের অপমান করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। তাই এই ঘটনায় দলিতদের হুমকি দেওয়া হয়।
এমন পরিস্থিতিতে ভাগ্নেকে সামলাতে এগিয়ে আসেন তাঁর মামা ধীরজ পার্মার। গ্রামবাসীদের কটূক্তি থেকে ভাগ্নেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন তিনি। তখনকার মতো পরিস্থিতি শান্ত হয়ে গেলেও ভিতর ভিতর যে ধিকি ধিকি আগুন জ্বলছিল, তা টেরও পাননি ধীরজ। সন্ধেয় সাতজনের একটি দল ধারানো অস্ত্র নিয়ে ধীরজ ও তাঁর ভাই কীর্তির উপর হামলা করে বলে অভিযোগ। অভিযুক্তদের একজন সেই ধারানো অস্ত্র দিয়ে কীর্তির বুড়ো আঙুল কেটে দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় যন্ত্রণায় কাতড়াতে থাকেন কীর্তি।
এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। অভিযুক্তদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।