সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা নিয়ে সরকারকে সতর্ক করেছিলেন অনেক আগেই। সেই মার্চ মাসেই এই মারণ ভাইরাসের আক্রমণকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণার দাবি জানিয়েছিল। ভাগ্যের পরিহাসে সেই করোনাতেই মৃত্যু হল কন্যাকুমারির কংগ্রেস সাংসদ এইচ বসন্তকুমারের (H Vasanthakumar)। শুক্রবার চেন্নাইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। ১০ আগস্ট সংক্রমিত হওয়ার পর থেকেই সেখানে ভরতি ছিলেন। মৃত্যুর পর সংসদে দেওয়া তাঁর একটি বক্তৃতার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যাতে দেখা যাচ্ছে, সেই মার্চ মাসেই করোনাকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণার দাবি জানিয়েছিলেন এই সাংসদ।
মার্চ মাসে সংসদ তখনও চলছিল। তখনই করোনাকে (Coronavirus) জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণার দাবি জানিয়েছিলেন বসন্তকুমার। ভাইরাল ভিডিওটিতে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে,"স্পিকার স্যার, আমাদের এখনই জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করে দেওয়া উচিত। রোজগার কমে যাওয়ায় অনেকেরই ঋণ শোধ করতে অসুবিধা হবে। আমার সরকারের কাছে অনুরোধ, দয়া করে ঋণের কিস্তি পিছিয়ে দিন। করোনার প্রভাবে দিনমজুররা চরম সমস্যায়। সরকারের কাছে আমার অনুরোধ, দিনমজুরদের পরিবার পিছু অন্তত ২ হাজার টাকা করে সাহায্য করা হোক।" এরপর জিএসটি (GST) ছাড়ের প্রস্তাব নিয়ে কথা বলার জন্যও সময় চেয়েছিলেন বসন্তকুমার। কিন্তু স্পিকার ওম বিড়লা (Om Birla) তাঁকে এক মিনিট সময়ও দেননি। স্পষ্টতই তাঁকে মাইক বন্ধ করতে অনুরোধ করেন এবং তৃণমূলের সৌগত রায়কে বলার সুযোগ দেন।
[আরও পড়ুন: রাহুল নেতা হলে ২০২৪ লোকসভাতেও জিতবে না কংগ্রেস, বলছেন আরেক বিক্ষুব্ধ নেতা]
বসন্ত কুমারের মৃত্যুর পর এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর শেয়ার হচ্ছে। এবং তাঁর অনুগামীরা সেসময় তাঁর প্রস্তাব প্রত্যখ্যানের জন্য মোদি সরকারকে কাঠগড়ায় তুলছেন। তাঁদের দাবি, সরকার সেসময় তাঁর প্রস্তাব মানলে আজ হয়তো এই দুর্দশা হত না। বস্তুত তখন বসন্ত কুমারের প্রস্তাবে পাত্তা না দিলেও পরে তাঁর দেখানো পথে হেঁটেই গরিব পরিবারকে সাহায্য, জিএসটি কমানোর মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।