সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুক্তিপণের দাবি না মানলে খুন করা হবে ১৭ মার্কিন ধর্মপ্রচারকদের। এমনটাই হুমকি দিয়েছে হাইতির (Haiti) দুষ্কৃতীরা। ফলে ক্যারিবিয়ান দেশটিতে অপহৃতদের প্রাণ সংশয়ের সম্ভাবন আরও বেড়েছে।
[আরও পড়ুন: বিদেশ থেকে পাওয়া সব উপহার বেচে দিয়েছেন ইমরান! বিরোধীদের অভিযোগে শোরগোল পাকিস্তানে]
রাজনৈতিক ডামাডোলের মাঝেই হাইতিতে গত শনিবার আমেরিকা ও কানাডার ১৭ জন খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারককে অপহরণ করা হয়। খোঁজ নেই তাঁদের পরিবারেরও। পরিবারের শিশুদেরও অপহরণ করা হয়েছে বলে খবর। এই ঘটনার নেপথ্যে ‘400 Mawozo’ নামের একটি গ্যাংয়ের হাত রয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। পণবন্দিদের মুক্তির জন্য জনপ্রতি ১০ লক্ষ ডলার দাবি করেছে দুষ্কৃতীরা। এই প্রসঙ্গে ইকুয়েডরে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন বিদেশ সচিব ব্লিঙ্কেন বলেন, “এই বিষয়ে লাগাতার কাজ করছি আমরা। অপহৃতদের মুক্ত করতে সমস্ত সম্ভব চেষ্টা করবে আমেরিকা।” এই ঘটনার তদন্তে এফবিআই জড়িত রয়েছে বলেও জানান ব্লিঙ্কেন।
এই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ভিডিও বার্তা দেয় হাইতির কুখ্যাত গ্যাংয়ের প্রধান উইলসন জোসেফ। তার হুমকি, “আকাশের বিদ্যুতের কসম আমার দাবি না মানলে ওই আমেরিকানদের খুলি ফুটো করে দেব।” একইসঙ্গে, বার্তায় হাইতির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি ও পুলিশপ্রধানকে হুমকি দেয় গ্যাং লিডার জোসেফ। সে বলে, “তোমরা আমাকে কাঁদিয়েছ। আমার চোখ থেকে জল বেরিয়েছে। কিন্তু তোমাদের চোখ থেকে রক্ত বেরবে।” প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকটি অভিযানে জোসেফের গ্যাংয়ের কয়েকজন সদস্যকে খতম করেছে পুলিশ। তাদের কফিনের সামনে দাঁড়িয়েই হাড়হিম করা বার্তা দেয় সে।
উল্লেখ্য, হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোইসেকে খুনের পর থেকেই সেখানে রাজনৈতিক ডামাডোল চলছে। এর মাঝেই সেখানকার অনাথ আশ্রমের দায়িত্ব ছেড়ে দেশে ফিরছিলেন ১৭ মার্কিন নাগরিক। তাঁরা খ্রিষ্ট ধর্ম প্রচার করতে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের এই দেশে গিয়েছিলেন। তখন তাঁদের অপহরণ করা হয়। প্রসঙ্গত, জুলাই মাসে ক্যারিবিয়ান দেশটির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সে নিজের বাসভবনেই খুন হন প্রেসিডেন্ট মোইসে। একদল অজ্ঞাতপরিচয় সশস্ত্র ব্যক্তি প্রেসিডেন্টের বাসভবনে আকস্মিকভাবে ঢুকে পড়ে হামলা চালায়। ওই ঘটনায় আহত হন ফার্স্ট লেডি মার্টিন মোয়েস। তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করানো হয়। কারা এই হামলা চালাল তার তদন্ত শুরু হয়েছে। কেনই বা হামলা চালাল তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।