সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: হস্টেল থেকে উদ্ধার আদিবাসী ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরুলিয়ার (Purulia) সাতুড়ি এলাকায়। খবর পেয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা।
জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রীর নাম মধুমিতা সোরেন। একাদশ শ্রেণিতে পড়ত সে। পুরুলিয়ার সাতুড়ি থানার অন্তর্গত মুরাডি গার্লস হাই স্কুলে পড়ত মধুমিতা। থাকত হস্টেলে। সূত্রের খবর, একদশ শ্রেণী পরীক্ষার পর ছুটিতে বাড়িতে ছিল মধুমিতা। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ছুটি কাটিয়ে সে ফেরে। বাবা মাঝিরাম সোরেন মধুমিতাকে হোস্টেলে রেখে যান। এদিন অন্যান্য ছাত্রী না থাকায় রাতে হস্টেলে একাই ছিল মধুমিতা।
[আরও পড়ুন: ‘প্রথমে ওর বাবাকে মারলাম, তারপর মাকে, তারপর দিদিকে…’, আশ্চর্যরকম নির্লিপ্ত শীতলকুচি কাণ্ডের ‘খুনি’]
শুক্রবার সকালে ডাকাডাকি করে মধুমিতার সাড়া না মেলায় চিন্তায় পড়ে হস্টেল কর্তৃপক্ষ। এরপরই একটি জানলা থেকে দেখা যায়, গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে ছাত্রী। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ দরজা ভেঙে মধুমিতার উদ্ধার করে। তড়িঘড়ি মধুমিতাকে মুরাডি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মধুমিতাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অনুমান এটি একটি আত্মহত্যা ঘটনা। তবে কী কারণে এই ঘটনা তা খতিয়ে দেখার জন্য দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে বিষয়টা খানিকটা স্পষ্ট হবে। তদন্তের স্বার্থে পুলিশের তরফে কথা বলা হবে মৃতার পরিবার ও পরিজনদের সঙ্গে।