সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা পেল গুজরাটের (Gujarat) ধোলাভিরা (Dholavira) গ্রাম। সুপ্রাচীন এই গ্রামটি হরপ্পা সভ্যতার সমসাময়িক (Harappan-era)। চিনে ইউনেস্কোর (Unesco) ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি’র বৈঠকে মঙ্গলবার ভারতের গ্রামটিকে এই সম্মান দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ধোলাভিরার এই সম্মানপ্রাপ্তির খবর পেয়ে আনন্দিত হয়ে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, যাঁরা ইতিহাস, সংস্কৃতি ও প্রত্নতত্ব সম্পর্কে আগ্রহী তাঁদের অবশ্যই আসা উচিত এখানে।
গুজরাটের কচ্ছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে অবস্থিত ধোলাভিরা সত্যিই ভ্রমণপিপাসু পর্যটকদের জন্য সত্যিই এক অসামান্য দর্শনীয় স্থান। এখান থেকে হরপ্পা সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। ধ্বংসাবশেষের গায়ে লেগে আছে হারানো সময়ের ঠিকানা। রোম্যান্টিক পর্যটকরা স্বাভাবিক ভাবেই এখানে এলে আবেগে ভেসে যান। ধোলাভিরা যেন এক টাইম মেশিন যা মুহূর্তেই আপনাকে নিয়ে যেতে পারে হরপ্পা সভ্যতার আমলে। মনে করা হয় হরপ্পা সভ্যতার অন্যতম বৃহৎ শহর ছিল ধোলাভিরা। আজ অবশ্য তা ধ্বংসাবশেষ। কিন্তু একদা কচ্ছের রণের ভিতরে অবস্থিত খডির দ্বীপে অবস্থিত এই নগরের ভগ্নস্তূপ আজও সাক্ষ্য দেয় ৫ হাজার বছর আগের পৃথিবীর।
[আরও পড়ুন: করোনায় বাংলায় অনাথ মাত্র ২৭ শিশু! রাজ্যের পরিসংখ্যান বিশ্বাসই করল না Supreme Court]
১৯৬০ সাল থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত হরপ্পা সভ্যতার বিভিন্ন নিদর্শন খনন করে উদ্ধার বের করা হয়। এর মধ্যেই অন্যতম ছিল ধোলাভিরা। প্রসঙ্গত, ধোলাভিরা ছাড়া কেবল লোথল গ্রামটি ভারতে অবস্থিত। বাকি সব নিদর্শনই পড়শি দেশ পাকিস্তানে। প্রতি বছরই গুজরাটের এই গ্রামে ভিড় জমান পর্যটকরা। নিঃসন্দেহে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা এই গ্রামকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে আরও উল্লেখযোগ্য করে তুলল।
ইউনেস্কোর এবারের সম্মেলনে তেলেঙ্গানার (Telangana) কাকাতিয়া রুদ্রেশ্বর মন্দিরকেও এই সম্মান দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সেই তালিকায় জুড়ে গেল ধোলাভিরা। এই নিয়ে গুজরাটের চারটি অঞ্চল এই সম্মান পেল। এর আগে পাভাগড়, রানি কি ভাব ও আহমেদাবাদ এই সম্মান পেয়েছে।