সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাবালিকাদের উপরে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল একটি হোমের প্রধানের বিরুদ্ধে। বিহারের (Bihar) ওই সরকারি হোমের প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েই তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনার বিশদ তদন্ত করতে বিশেষ দল গঠন করেছে বিহার পুলিশ। ২০১৮ সালেও একই ধরনের অভিযোগ উঠেছিল বিহারের মুজঃফরনগরের একটি সরকারি হোমের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার প্রভাব পড়েছিল দেশজুড়ে। কিছুদিন আগেই মুজঃফরনগরের ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট পেশ করেছিল বিহার সরকার।
জানা গিয়েছে, গাইঘাট শেল্টার হোমের (Shelter Home) সুপারিন্টেন্ডেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিল তিনজন নাবালিকা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই শনিবার গাইঘাট হোমের প্রধানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে আদালতে পেশ করার পরে আপাতত জেল হেফাজতে রাখা হয়েছে। বিহার পুলিশের মতে, এই ঘটনা নিয়ে এখনও সেরকম তথ্য পাওয়া যায়নি। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখতে সিট গঠন করা হয়েছে। পুরো বিষয়টির সঙ্গে অন্য কেউ জড়িয়ে রয়েছে কিনা, তা জানতেও তদন্ত করা হবে।
[আরও পড়ুন:ছিল গগনচুম্বী অট্টালিকা, হল ধুলোর স্তূপ, নিমেষে ধ্বংস নয়ডার টুইন টাওয়ার, দেখুন ভিডিও]
পাটনা পুলিশের এসএসপি মানবজিৎ সিং ধিলোঁ জানিয়েছেন, “হোমের প্রধানের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেছে তিনজন। তাছাড়াও হোমের বেশ কয়েকজন জানিয়েছে, তাদেরকে মারধর করা হত। যৌন হেনস্তার অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য ইতিমধ্যেই সিট গঠন করা হয়েছে। আপাতত তিনজন নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে হোমের প্রধানকে আটক করা হয়েছে। “
মানবজিৎ আরও জানিয়েছেন, যা বয়ান দিয়েছে অভিযোগকারীরা, সেখানে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায়নি। হোমের প্রধান ছাড়াও অন্য কেউ গোটা বিষয়ের যুক্ত ছিল কিনা, তাও জানা যাচ্ছে না। তবে যেটুকু জানা গিয়েছে, তার ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করা হবে। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৮ সালেও বিহারের সরকারি হোমে যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। সেই ঘটনায় সিবিআইকে তদন্তভার দিতে বাধ্য হয় তৎকালীন নীতীশ কুমারের সরকার। দিল্লিতে এই ঘটনার তদন্ত করা হয়। মূল অভিযুক্ত ব্রজেশ ঠাকুরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।