shono
Advertisement

শিয়রে শমন দেখে কী করেছিল বাগদাদি? প্রকাশ্যে শিহরন জাগানো তথ্য

দিন শেষ 'খিলাফতের খলিফা'র। The post শিয়রে শমন দেখে কী করেছিল বাগদাদি? প্রকাশ্যে শিহরন জাগানো তথ্য appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 11:56 AM Oct 28, 2019Updated: 11:56 AM Oct 28, 2019

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিক্ষক থেকে ধর্মান্ধ জেহাদি। মার্কিন জেল থেকে ইসলামিক স্টেটেটর ‘খলিফা’র মসনদ। আবু বকর আল বাগদাদির উত্থান ছিল স্বপ্নের মতো। আল কায়দার সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে ইরাক ও সিরিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে সে গড়ে তুলেছিল ইসলামিক সাম্রাজ্য। প্রবল প্রতাপশালী বাগদাদি কার্যত হয়ে উঠেছিল গ্রিক পুরাণের সর্পদানব ‘হাইড্রা’। যার হাজারটা মুণ্ড। একটি কাটলে গজিয়ে উঠত আরও একটি মাথা। তবে মৃত্যুভয় বড়ই কঠিন। ইস্পাতকঠিন মানুষকেও কাবু করে ফেলে কালের ডাক। জীবনের শেষ মুহূর্তে এসে দোর্দণ্ডপ্রতাপ বাগদাদিও যেন হয়ে গিয়েছিল মেরুদণ্ডহীন কেন্নোর মতো।

Advertisement

রবিবার মার্কিন প্রতিরক্ষা সূত্রে জানানো হয়, ইসলামিক স্টেট জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতা আবু বকর আল-বাগদাদি সিরিয়ায় ইদলিব প্রদেশের বারিশা এলাকায় এক অভিযানে নিহত হয়। বেলা গড়াতে সে খবরে সিলমোহর দেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘রাস্তার কুকুরের মতো মারা গিয়েছে কাপুরুষ বাগদাদি। বেশ কিছুক্ষণ লড়াইয়ের পর একটি সুড়ঙ্গে ঢুকে পরে সে। তবে সেটি থেকে বেরনোর কোনও পথ ছিল না। মার্কিন সৈনিকদের সামনে তিনটি শিশুকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছিল সে। অবশেষে কাঁদতে শুরু করে জঙ্গি নেতা। আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে প্রবল চিৎকার শুরু করে বাগদাদি। তারপরই সুইসাইড ভেস্টের বোতাম টিপে বিস্ফোরণ ঘটায়। তার সঙ্গে মারা পড়ে তিনটি শিশু ও তার দুই স্ত্রী।’

ট্রাম্প আরও জানান, বিস্ফোরণের জেরে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় বাগদাদির দেহ। তবে ঘটনাস্থলে ডিএনএ মিলিয়ে আইএস নেতার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয় মার্কিন সেনা। এই অভিযানে কোনও মার্কিন সৈনিকের মৃত্যু হয়নি। অপারেশন শেষ করে এক ‘বন্ধু দেশের’ বন্দরে পৌঁছে যায় মার্কিন বাহিনী। এই অভিযানে মদত দেওয়ার জন্য রাশিয়া, ইরাক, সিরিয়া ও তুরস্ককে ধন্যবাদ জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

আগেও বেশ কয়েকবার বাগদাদির মৃত্যুর খবর শোনা গিয়েছিল। কিন্তু প্রতিবারই তা মিথ্যে প্রমাণ করে দুর্ধর্ষ এই জঙ্গি নেতা। ভিডিও রিলিজ করে নিজেই জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছিল বাগদাদি। তবে এবার খোদ ট্রাম্পের ঘোষণায়, অনেকেই মনে করছেন ‘খিলাফতের খলিফা’র দিন শেষ। উল্লেখ্য, ২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবটাবাদে আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে খতম করেছিল মার্কিন নেভি সিলস। ওই অভিযান হয়েছিল তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নির্দেশে। স্বাভাবিকভাবেই, ওবামা না ট্রাম্প, কার কৃতিত্ব বেশি? উঠছে এই প্রশ্ন। তবে হাবভাবে তিনিই যে আমেরিকাকে বেশি সুরক্ষিত করেছেন, এমনটা বুঝিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প।

[আরও পড়ুন: মেধাবী ছাত্র-শিক্ষক-ফুটবলার বাগদাদিই বন্দুক হাতে তুলে হয়ে ওঠে আইএস প্রধান]

The post শিয়রে শমন দেখে কী করেছিল বাগদাদি? প্রকাশ্যে শিহরন জাগানো তথ্য appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement