সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিন একর জায়গার উপর তৈরি বিশালাকার বাড়ি৷ ভিতরে রয়েছে অন্তত ৬০০ জনের বসবাসের পর্যাপ্ত জায়গা৷ সঙ্গে সুইমিং পুল-সহ যাবতীয় বিলাসের বন্দোবস্ত৷ সদ্যই সামনে এসেছে এমন একটি প্রাসাদোপম বাড়ির ছবি৷ একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, পাক অধিকৃত পাঞ্জাবের বাহাওয়ালপুরের ওই বাড়িটি আসলে জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটি৷
[‘I’m not supposed to tell you that’ কেন একথা বলেছিলেন অভিনন্দন?]
ওই সংবাদমাধ্যমের দাবি, বাহাওয়ালপুরের ওই বাড়িটি মার্কাজ সুভানাল্লা নামে পরিচিত৷ ২০১২ সালে জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহার বাড়ি তৈরি শুরু করে৷ কয়েক কোটি টাকা খরচে প্রায় তিন বছরের চেষ্টায় প্রাসাদোপম বাড়িটি তৈরি হয়৷ জঙ্গিঘাঁটি তৈরির জন্য আফ্রিকা-সহ একাধিক জায়গা থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করেছিল মাসুদ৷ প্রায় তিন একর জায়গার উপর তৈরি এই প্রাসাদোপম বাড়িটিকে প্রধান কার্যালয় হিসাবে কাজে লাগায় জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান৷ এখানেই থাকত মাসুদ আজহার এবং তার বেশ কয়েকজন ভাই৷ অন্তত ৬০০ জন ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকার বন্দোবস্ত রয়েছে বাহাওয়ালপুরের প্রাসাদোপম বাড়িটিতে৷ এই কমপ্লেক্সে রয়েছে সুইমিং পুল এবং অত্যাধুনিক জিম৷ জঙ্গিরা শরীরচর্চাও করত এখানে৷ শুধু তাই নয়, বাড়ির ভিতরে রয়েছে বিভিন্ন দেশের মানচিত্র এবং টার্গেটে থাকা দেশগুলির যাবতীয় খুঁটিনাটি তথ্য৷
[অভিনন্দনের গোঁফ-দাড়ির স্টাইলে মজেছে দেশ]
মূলত প্রাসাদোপম এই বাড়িটি ছিল জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিতে আসা যুবকদের ‘প্রবেশ পথ’৷ জঙ্গি প্রশিক্ষণে ইচ্ছুক যুবকদের প্রথমে বাহাওয়ালপুরের এই প্রাসাদোপম বাড়িতে নিয়ে আসা হত৷ সেখানেই বেশ কয়েকদিন রেখে মানসিকতা বদলের পাঠ দেওয়া হত তাদের৷ মগজধোলাই করে তাদের মনের ভিতর ঢুকিয়ে দেওয়া হত টার্গেটে থাকা দেশের প্রতি বিদ্বেষ৷ মানসিকতা বদলের পরেই প্রশিক্ষণ নিতে আসা ওই যুবকদের পাঠিয়ে দেওয়া হত বালাকোটের জঙ্গি ঘাঁটিতে৷ গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় বায়ুসেনার প্রত্যাঘাতে গুঁড়িয়ে গিয়েছে ওই জঙ্গিঘাঁটি৷ সেখানেই নানা ধরনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই জঙ্গি হয়ে উঠতো ইচ্ছুক যুবকেরা৷ জঙ্গি প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বাহাওয়ালপুরের এই বাড়িতে নানা গোপন বৈঠকও করত মাসুদ৷ শুধু তাই নয় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী প্রাসাদোপম এই বাড়িতে আসা যাওয়া ছিল শীর্ষস্তরের জঙ্গিদের৷
The post প্রাসাদ না জঙ্গিঘাঁটি! জইশের হেড কোয়ার্টার সম্পর্কে এই তথ্যগুলি জানেন? appeared first on Sangbad Pratidin.