সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রংয়ের উৎসবে মেতে ওঠার প্রস্তুতি শেষ। চলছে একে অপরকে রাঙিয়ে তোলার পালা। একে অপরকে আবির মাখিয়ে দেওয়া, মিষ্টিমুখে পাশাপাশি একাধিক ধর্মীয় রীতিনীতিও পালন করা হয়। রংয়ের উৎসবে মেতে ওঠেন নিশ্চয় আপনিও। সকলকে শুভেচ্ছা জানাতে অনেকেই এখন বলে থাকেন ‘হ্যাপি হোলি’। কিন্তু দোল এবং হোলির মধ্যে যে সামান্য পার্থক্য রয়েছে, তা কী জানেন? একাধিক শাস্ত্রে রয়েছে তার ব্যাখ্যা।
পুরাণ মতে, দোলের দিন শ্রীকৃষ্ণ রাধাকে ফাগে রাঙানোর পাশাপাশি দিয়েছিলেন প্রেম প্রস্তাবও। আবার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অনেকেই দোলযাত্রাকে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মতিথি হিসাবে ধরেন। সেই অনুযায়ী নবদ্বীপ, মায়াপুরে বিশেষ পূজার্চনার আয়োজনও করা হয়। ওড়িশাতেও শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মতিথিতে বিশেষ পুজোপাঠ করা হয়।
[আরও পড়ুন: সপ্তাহ পেরলেই রঙের উৎসব, জেনে নিন চলতি বছর দোল পূর্ণিমার তিথি]
দোলের পরদিন হোলি উদযাপন করা হয়। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অনেকেই মনে করেন, বিষ্ণুর অংশ হলে শ্রীকৃষ্ণ এবং রাজা হিরণ্যকশিপুর ছেলে প্রহ্লাদ। তাকে আগুনে পুড়িয়ে খুনের চেষ্টা করেছিলেন হিরণ্যকশিপুর বোন হোলিকা। তবে আগুনে ঝাঁপ দেওয়া সত্ত্বেও প্রাণরক্ষা হয় প্রহ্লাদের। প্রাণ হারান হোলিকা। তারপর থেকেই হোলি পালন করা হয়। অশুভ শক্তির পরাজয়কে উদযাপন করতে দোলের আগেরদিন হোলিকা দহন বা নেড়া পোড়ার আয়োজন করা হয়।