সুপর্ণা মজুমদার: দেশপ্রেমের রানওয়েতে ‘তেজস’ (Tejas) সাফল্যের নতুন উড়ান শুরু হবে। এই ছিল কঙ্গনা রানাউতের (Kangana Ranaut) আশা। কিন্তু গতানুগতিকতার চোরাবালিতে তা তলিয়ে গেল। দেশপ্রেমের ইঞ্জেকশনেও বিশেষ লাভ হল না।
সুরবেশ মেভারা পরিচালিত ছবিতে নাম ভূমিকাতেই অভিনয় করেছেন কঙ্গনা। এয়ারফোর্সের দুরন্ত অফিসার তেজস গিল হয়েছেন তিনি। প্রথমেই সেন্টিনেল দ্বীপ থেকে সহকর্মীকে উদ্ধার করে তেজস। তা করতে গিয়েই আবার বিষাক্ত বাণের আঘাতে অজ্ঞান হয়ে যায়। গল্প চলে যায় ফ্ল্যাশব্যাকে। তেজসের পাইলট হয়ে ওঠার কাহিনি দেখানো হয়। কিঞ্চিৎ প্রেমও রয়েছে। তবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেশপ্রেমে মোড়া।
[আরও পড়ুন: ভাঙা মনে রণবীর-রশ্মিকার নিবিড় চুম্বন, ‘সতরঙ্গা’র সুরে ফের মন কাড়লেন অরিজিৎ]
মুম্বই বিস্ফোরণে গোটা পরিবারকে হারায় তেজস। সেই শোক বুকে নিয়েই দেশের শত্রুদের নিকেশ করার ব্রত নেয়। তারপর পাকিস্তানের মাটিতে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে টপ সিক্রেট মিশনে সুযোগ পায়। এ পর্যন্ত তাও ঠিক ছিল। তার পর এল রাম জন্মভূমি বাঁচানোর প্রসঙ্গ। তাতেই গল্প হারাল গতিপথ। হাতে সময় থাকে সিনেমা হলে গিয়ে এ সিনেমা দেখতেই পারেন। তার আগে কয়েকটি বিষয় জেনে রাখা প্রয়োজন।
‘তেজস’ ছবির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শুধুই কঙ্গনা রানাউত। অংশুল চৌহান, বরুণ মিত্র, আশিস বিদ্যার্থী, বিশাক নায়ার কেবলমাত্র পার্শ্ব চরিত্র হিসেবে নিজেদের ভূমিকা পালন করেছেন। তবে কঙ্গনা গতানুগতিকতার জালে নিজেকে বড্ড বেশি জড়িয়ে ফেলেছেন। হ্যাঁ, ছবির কয়েকটি দৃশ্য ভালো লাগে। বিশেষ করে যুদ্ধ বিমান ওড়ানোর দৃশ্যগুলি। কিন্তু সিনেমার প্রথম এক ঘণ্টাতেই চার-চারটি গান চোখে লাগে। শেষার্ধ শুধুমাত্র উদ্ধারকাজে শেষ হলে ঠিক ছিল। বাকি অংশটুকু বাড়তি মেদের মতো মনে হয়েছে। অবশ্য ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বেশ ভালো।
সিনেমা – তেজস
অভিনয়ে – কঙ্গনা রানাউত, অংশুল চৌহান, বরুণ মিত্র, আশিস বিদ্যার্থী, বিশাক নায়ার
পরিচালনা – সুরবেশ মেভারা