সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতি বছর বৈশাখ মাসের তৃতীয়া তিথির শুক্ল পক্ষে পালিত হয় অক্ষয় তৃতীয়া। হিন্দু ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের কাছে এটি অত্যন্ত শুভ তিথি। এদিনই জন্মেছিলেন বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার পরশুরাম। সত্যযুগ শেষ হয়ে শুরু হয় ত্রেতা যুগ। বেদব্যাস ও গণেশ এই দিনেই মহাভারত রচনা আরম্ভ করেছিলেন। এই বিশেষ দিনেই কুবেরের লক্ষ্মী লাভ হয়েছিল বলে বৈভব-লক্ষ্মীর পুজো করা হয়। তাই মনে করা হয়, অক্ষয় তৃতীয়ার দিন কোনও শুভ কাজ করলে তা অক্ষয় হয়ে থাকে। ঠিক তেমনই অশুভ কিছু করলে তার পাপ বহন করতে হয় আজীবন।
চলতি বছর রবিবার অক্ষয় তৃতীয়া। কিন্তু লকডাউনের জেরে অন্যান্য বারের মতো এবার এই দিনটি বাঙালির কাছে আর উৎসবের দিন নয়। পুরোহিতের অভাবে বিভিন্ন দোকানে হালখাতাও হবে নমো নমো করেই। তবে পুজো তো একেবারে বন্ধ করে দেওয়া যায় না। অনেক ব্যবসায়ী নতুন করে ব্যবসা শুরু করতে এই দিনটি বেছে নেন। অনেকেই সংসারের নানা শুভ কাজ শুরু করেন এদিন। এমন শুভ দিনে তাই এবার বাড়ির চার দেওয়ালের মধ্যেই পুজোর সমস্ত সরঞ্জাম করুন। লক্ষ্মী ও গণেশ পুজো করে সংসারে আর্থিক উন্নতি ও সুখ শান্তি অক্ষয় রাখুন।
[আরও পড়ুন: ২০২০’র শেষে হতে পারে আরও বড় বিপদ, জ্যোতিষচর্চায় পারদর্শী কিশোর ফের শোনাল আশঙ্কার কথা]
পরিবারে শুভ শক্তির আগমন ঘটাতে, অশুভকে বিনাশ করতে এবং সুখ সম্বৃদ্ধি বাড়াতে এদিন কী কী করবেন?
১. এদিন সকাল সকাল স্নান সেরে নিন। শুদ্ধ পোশাক গায়ে চাপিয়ে যথা সম্ভব কিছু দান করুন। এতে সংসারের মঙ্গল হয়।
২. গণেশ ও লক্ষ্মীর মূর্তিতে সিদুঁর লাগান।
৩. ঈশ্বরকে ফল মিষ্টি নিবেদন করুন।
৪. বিবাহিত হলে এবং সম্ভব হলে কয়েকজন এয়োতিকে আলতা ও সিঁদুর দান করতে পারেন।
৫. তামার ঘট, নারকেল, সুপারি ও চন্দন কাঠ দান করাও অত্যন্ত শুভ।
৬. সোনা, রুপো কিংবা অন্য কোনও ধাতুর জিনিস কিনতে পারলে খুব ভাল।
৭. জামা-কাপড় কিংবা অন্ন তুলে দিতে পারেন দুস্থদের মুখে। এতে সংসারে শান্তি আসে।
৮. সন্ধেয় আবার হাত-মুখ ধুয়ে গণেশের আরতি করুন।
৯. লোভ সংযত করে ঈশ্বরের আরাধণা করার পর পরিবারে প্রসাদ বিতরণ করুন। এতে মনস্কামনা পূর্ণ হয়।
[আরও পড়ুন: নববর্ষের পর লকডাউনের আওতায় অক্ষয় তৃতীয়াও, হালখাতার পুজো নিয়ে ধন্দে পুরোহিতরা]
The post বাড়িতে সুখ-সমৃদ্ধি বজায় রাখতে অক্ষয় তৃতীয়ায় এভাবেই করুন পুজো appeared first on Sangbad Pratidin.