সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৈরি হবে শপিং প্লাজা। আর সেই কারণেই ভেঙে ফেলা হল দেড়শো বছরের পুরনো হিন্দু মন্দির। পাকিস্তানের করাচিতে যা নিয়ে তৈরি হয়েছে তীব্র চাপানোতর। আতঙ্কে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন।
জানা গিয়েছে, করাচির সোলজার বাজারে ছিল ১৫০ বছরের মারি মাতার মন্দির। গত শুক্রবার রাতে কার্যত চুপিসারেই ভেঙে ফেলা হয় ওই মন্দিরটি। উদ্দেশ্য নতুন শপিং প্লাজা নির্মাণ। মন্দিরের জমিটি নাকি শপিং প্লাজার এক প্রোমোটারকে ৭০ মিলিয়ন পাক মুদ্রায় বিক্রি করা হয়েছে বলে খবর। সেই মতোই মধ্যরাতে বুলডোজার এনে মন্দির ভাঙা কাজ শুরু হয়ে যায়। তাও আবার পুলিশের উপস্থিতিতেই। প্রসঙ্গত, গত বছরের জুনে এই মারি মাতা মন্দিরে দেবদেবীর মূর্তি ভাঙচুরের খবরও উঠে এসেছিল শিরোনামে।
[আরও পড়ুন: ‘দেশের জার্সি পরলে চোখে জল আসবে’, জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে আবেগঘন রিঙ্কু সিং]
করাচির শ্রী পঞ্চমুখী হনুমান মন্দিরের পুরোহিত রামনাথ মিশ্র জানান, প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ বর্গগজ জুড়ে তৈরি এই মন্দিরের ইতিহাস অতি প্রাচীন। এর নিচে বহুমূল্য ধনসম্পদ রয়েছে বলেও গল্প শোনা যায়। তবে এর দিকে বহুদিন ধরেই নজর ছিল প্রোমোটারদের। শেষমেশ রাতের অন্ধকারে তা ভাঙা পড়ায় করাচিতে বসবাসকারী হিন্দুদের মধ্যে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। কোরাঙ্গি এলাকার সঞ্জীব বলছেন, পাকিস্তানের মন্দিরগুলি মাঝেমধ্যেই জনতার হিংসার লক্ষ্যবস্তু হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সিন্ধু প্রদেশে অবস্থিত কয়েক ডজন মন্দির ইতিমধ্যেই ধ্বংস করা হয়েছে।
হিন্দু কমিউনিটির তরফে পাকিস্তান-হিন্দু কাউন্সিল এবং সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রী সৈয়দ মুরাদ আলি শাহকে এই বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করার আরজি জানানো হয়েছে। যদিও পাক সরকারের দাবি, মন্দিরটির জরাজীর্ণ অবস্থা দেখেই তা ভেঙে শপিং প্লাজা তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।