সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চরমে পৌঁছে গিয়েছে ধর্মীয় বিদ্বেষ৷ এবার আমেরিকার বার্ডসটাউন রোডের উপর স্বামী নারায়ণ মন্দিরে হামলা চালাল একদল দুষ্কৃতী, যা সাম্প্রতিককালে নজিরবিহীন। ক্ষতিগ্রস্ত হল মন্দিরের একাংশ৷ মন্দিরের দেওয়ালে কালো রঙ দিয়ে হিন্দুবিদ্বেষী বার্তা লিখে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা৷ ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷ কেন এই ধরনের হামলা চালান হয়েছে, সে বিষয়ে এখনও ধন্দে তদন্তকারীরা৷
[অভিবাসন নিয়ম লঙ্ঘন, আমেরিকায় আটক ৬০০ ভারতীয় পড়ুয়া ]
জানা গিয়েছে, রবিবার ও মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই হিন্দু মন্দিরে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা৷ মন্দিরের বাইরে সিসি ক্যামেরা না থাকায় হামলাকারীদের কোনও ভিডিও ফুটেজ পায়নি পুলিশ৷ ভাঙা পড়েছে মন্দিরের বাইরের দেওয়াল ও জানলা৷ কালো রঙ দিয়ে মার্কিন নিবাসী হিন্দু ভারতীয়দের উদ্দেশে লেখা হয়েছে ঘৃণ্য ও বিদ্বেষমূলক বার্তা৷ এই হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমেরিকা প্রবাসী হিন্দু-মার্কিন সম্প্রদায়ের মধ্যে তৈরি হয়েছে আতঙ্কের পরিবেশ৷ বিষয়টিকে হালকা ভাবে নিচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন৷ বার্ডসটাউনের মেয়র গ্রেগ ফিসচার জানিয়েছেন, সর্বদাই এই ধরনের অপরাধ কঠোর হাতে শায়েস্তা করেছে প্রশাসন৷ এবারও তার অন্যথা হবে না৷ দোষীরা শাস্তি পাবেই৷ স্বামী নারায়ন মন্দিরের এক সদস্য জানিয়েছেন, মন্দির তাঁদের প্রার্থনাস্থল৷ কোনও ধর্মেই প্রার্থনাস্থল নষ্ট করা অনুচিত কাজ৷ দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্বামী নারায়ণ মন্দিরের অন্যান্য সদস্যরা৷
[তাপমাত্রা মাইনাস ৬৫ ডিগ্রি, আমেরিকায় ফিরল তুষার যুগ!]
প্রসঙ্গত, ২০২০-র মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে নেমে একই ভাবে ধর্মীয় ঘৃণার শিকার হয়েছিলেন তুলসী গাবার্ড৷ প্রথম হিন্দু প্রার্থী হিসাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তুলসী৷ তার আগে ধর্মের কারণে নিজের দেশেই বিরোধীদের আক্রমণের মুখে পড়েন তিনি। তুলসী জানিয়েছেন, তাঁকে তো বটেই, ধর্মের দোহাই দিয়ে সমর্থকদেরও আক্রমণ করা হচ্ছে। তাঁর এবং সমর্থকদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে আমেরিকার একটি মহল ও বেশ কিছু সংবাদপত্র৷ তাঁকে ‘হিন্দু জাতীয়তাবাদী’ বলেও কটাক্ষ করা হচ্ছে বলে ক্ষোভ উগরে দেন তুলসী। এ মাসের শুরুতেই ‘দ্য ইন্টারসেপ্ট’ নামের একটি মার্কিন পত্রিকা তুলসীর সমালোচনা করে৷ সেখানে বলা হয়, “গাবার্ড এমন একজন ব্যক্তিত্ব, যিনি মেরুকরণে বিশ্বাসী। তিনি একদিকে দেশে প্রগতিশীল রাজনীতি করছেন, সামাজিক প্রগতির মাধ্যমে দেশের উন্নয়ণের কথা বলছেন৷ আর অন্যদেশের স্বৈরাচারী ও রক্ষণশীল মনোভাবাপন্ন শাসকদের সমর্থন যোগাচ্ছেন।”