সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘর তো শুধু চার দেওয়ালে একটুকরো আস্তানা নয়। তা আসলে একজন মানুষের সারাজীবনের আশ্রয়, ভরসার স্থল। বাড়ি যেমনই হোক, অন্দরসজ্জা নিজের মনের মতো করতে ত্রুটি রাখেন না কেউ। অনেকের পছন্দ বারান্দার পর একফালি উঠোনে ছোট্ট বাগান, আবার কেউ কেউ বিভিন্ন ছোট গাছ দিয়ে ঘর সাজাতেই বেশি ভালোবাসেন। আজকের এই প্রতিবেদন তাঁদেরই জন্য। গাছ দিয়ে ঘর সাজানোর আগে অবশ্যই জেনে নেওয়া দরকার কোন কোন গাছ অন্দরে একেবারেই রাখা চলবে না।
গাছ মাত্রই অক্সিজেন সরবরাহকারী, পরিবেশ সতেজ রাখে, তাতে কোনও ভুল নেই। তবে সব গাছ আপনার ঘরে একইভাবে পরিবেশ সুস্থ রাখবে কি না, তা জেনে নেওয়ার আছে বইকী। সঠিক গাছ বেছে ঘর না সাজালে হিতে বিপরীত হতে পারে। বাড়িতে শিশু কিংবা পোষ্য থাকলে তারা ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে ওইসব গাছের প্রভাবে, তা সে যত সুন্দর দেখতেই হোক। এই তালিকায় রয়েছে ক্যাকটাস, বাবুল, এলিফ্যান্ট ইয়ার প্ল্যান্টের মতো বেশ কিছু চেনা গাছ। এগুলো ভুলেও রাখবেন না ঘরে। বাস্তুশাস্ত্রের গবেষণা বলছে, একেকটির একেক রকম নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে।
যেমন ধরা যাক, ক্যাকটাস। দেখতে ছোটখাটো কিন্তু ভাস্কর্যের মতো, সহজে বেড়ে ওঠে, বেশি যত্ন করতে হয় না। কিন্তু প্রধান শত্রু হল ক্যাকটাসের কাঁটা। তা এতই ধারাল হয় যে কারও শরীরে একবার লাগলে বড় বিপদ হতে পারে। বিশেষত শিশু ও বাড়ির পোষ্যদের এর থেকে খুব সাবধানে রাখতে হবে।
ক্যাকটাস।
দীর্ঘ গাঢ় সবুজ, সুগঠিত পাতা সম্বলিত ছোট গাছ ক্যালাডিয়াম বা চলতি কথায় এলিফ্যান্ট ইয়ার প্লান্ট। পাতাগুলি দেখতে অনেকটা হাতির কানের মতো। তাই তার ওরকম নাম। এই গাছও ঘরে রাখবেন না। উদ্ভিদবিজ্ঞানের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, এত বড় পাতায় থাকে ক্যালসিয়াম অক্সালেট, যা অতি বিষাক্ত। এমনকী এই পাতা ছুঁলে ত্বকেও সমস্যা হতে পারে।
এলিফ্যান্ট ইয়ার প্ল্যান্ট।
আরেকটি সুন্দর গাছের নাম কটন প্ল্যান্ট। তুলোর মতো ফুলে ছেয়ে থাকা গাছটি দেখে ভালো লাগলেও প্রাচীন প্রবাদ অনুযায়ী, এই গাছ দারিদ্র, দুর্দশার প্রতীক। এছাড়া ওই তুলোর মতো ফুলগুলি সহজেই ধুলোবালি টেনে নেয়। ফলে গাছের জন্য ঘরের পরিবেশ স্বাস্থ্যকর হওয়ার বদলে আরও দূষিত হয়ে পড়ে।
কটন প্ল্যান্ট।
বাবুল গাছ এমনিতে ওষধি হিসেবে পরিচিত হলেও ঘরে রাখা একেবারেই উচিত নয়। বাস্তুবিদদের মতে, এই গাছ ঘরে থাকলে পরিবারে দ্বন্দ্ব বাড়ে।
আরেক সুন্দরী গাছ লিলি। শ্বেতশুভ্র বড় বড় ফুলের শোভা দেখে মন ভালো হয়ে যায়। কিন্তু রূপে ভুললে চলবে না। লিলিগাছ মোটেই ইনডোর প্ল্যান্ট হিসেবে সমাদৃত নয়। ইস্টার লিলি বা টাইগার লিলির পরাগরেণু পোষা বেড়ালদের জন্য অতি বিপজ্জনক। তাদের শরীরের একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। আর বাস্তমতে, লিলিফুল সাধারণত মৃতদের উদ্দেশে দেওয়া হয়। তাই এটা ঘরে রাখলে মৃত্যুর সঙ্গে যোগ তৈরি হয়, যা গৃহের সুন্দর পরিবেশে একেবারে বেমানান।
লিলিফুল।
