সুমন করাতি, হুগলি: বিরল রোগে আক্রান্ত ২ বছরের শিশু। তার চিকিৎসা করাতে গিয়ে সর্বশান্ত পরিবার। কিন্তু এবার কীভাবে হবে চিকিৎসা? সেই চিন্তায় কুল কিনারা পাচ্ছেন না মা অর্থাৎ হুগলির (Hooghly) বাসিন্দা অদিতি সামুই। চিন্তায় গোটা পরিবার।
হুগলির আরামবাগের গোঘাটের মামুদপুরের বাসিন্দা ওই শিশু। খুদের মা জানিয়েছেন, এই রোগ জিনগত। যার কবলে খুদের দাদু,মা,মামা সকলে। দাদু শান্তিনাথ পাল বলেন, মেয়ের দু’বছরে শিশুও রেহাই পায়নি এই রোগ থেকে। উপসর্গ কী? হাত পা প্রায় পাথরের মতো শক্ত হয়ে গিয়েছে। বেঁকে গেছে হাত-পায়ের আঙুল। চলাফেরাও করতে পারছে না ঠিকমতো। বংশগত এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে লড়াই চালাচ্ছেন হুগলির আরামবাগের গোঘাটের মামুদপুরে পাল এবং সামুই পরিবার। অর্থাৎ খুদের বাড়ি ও তার মামার বাড়ি। রোগ মুক্তির জন্য প্রয়োজন প্রচুর অর্থ। ইতিমধ্যেই ছেলের চিকিৎসার জন্য জমি জায়গা বিক্রি করে দিয়েছেন মা। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি কিছুই।
[আরও পড়ুন: ‘ওন্দা রেল দুর্ঘটনায় TMC যুক্ত কিনা তদন্ত হোক’, আজব দাবি শুভেন্দুর, পালটা কুণালের]
জানা গিয়েছে, চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে চায় পাল এবং সামুই পরিবার। কিন্তু এত টাকা কোথায় পাবে তাই ভেবে কুল পাচ্ছেন না। খুদের মা অদিতি শামুই বলেন, তাঁর বাবার পরিবার থেকেই এই রোগ। তাঁর বাবা, ভাই, এমনকী তিনি নিজেও এই রোগের কবলে। ছেলেকে সুস্থ করতে কলকাতা থেকে শুরু করে রাজ্যের বাইরেও ডাক্তার দেখিয়েছেন। অভাবের সংসার, সম্বল বলতে আর কিছুই নেই। ফলে সন্তানের চিকিৎসা কীভাবে হবে, তা পাচ্ছেন না পরিবারের সদস্যরা।
শিশুটির দাদু শান্তিনাথ পাল বলেন, আমরাও অভাবী। মেয়ের শ্বশুরবাড়িও অভাবী। ফলে এই ছোট্ট শিশুর চিকিৎসা কীভাবে হবে জানি না। এখন তাঁদের আরজি সরকারের কাছে। মানবিক সরকার যদি পাশে দাঁড়ায়, তাহলে হয়তো সুস্থ জীবনে ফিরতে পারবে শিশুটি। খুদের পরিবারের সকলের কাছে আরজি একটাই, সকলে এগিয়ে আসুক, পাশে দাঁড়াক। একমাত্র তাতেই হয়তো সুস্থ জীবনে ফিরতে পারবে খুদে।