সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে উৎসবের আবহেই ফের ছদ্মবেশে জম্মু-কাশ্মীরে দিনভর হামলা চালাল জঙ্গিরা। চলল গ্রেনেড হামলাও। রামবান এলাকায় এক বাড়িতে ঢুকে জঙ্গিরা পণবন্দি করে কয়েকজন সদস্যকে। তাঁদের নিরাপদে উদ্ধার করে জঙ্গিদের খতম করতে রীতিমতো আলাদাভাবে অপারেশনের পরিকল্পনা করতে হয় সেনাবাহিনীকে। দিনভর গুলির লড়াইয়ের পর বিকেলে মুক্ত হন বাসিন্দারা। বিনিময়ে অবশ্য ১ সেনা আধিকারিক শহিদ হয়েছেন। সেনাবাহিনীর হাতে নিকেশ হয় ৩ জঙ্গি। এখনও খোঁজ চলছে ২ জনের।
[আরও পড়ুন : কুলভূষণের আইনজীবীকে ১ টাকা দিয়ে মায়ের শেষ প্রতিশ্রুতি পূরণ সুষমাকন্যার ]
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়েতে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সকালেই জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়েতে একটি যাত্রীবাহী বাস থামানোর চেষ্টা করে জঙ্গিরা। বাসচালক দেখতে পান, সেনার পোশাক পরা কয়েকজন এগিয়ে আসছে বাসের দিকে। চালক বুঝতে পারেন, সেনার ছদ্মবেশে এরা আসলে জঙ্গি। তিনি দ্রুত বাসের গতি বাড়িয়ে তাদের নাগাল থেকে পালিয়ে যান এবং নিকটবর্তী থানায় খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ওই বাটোট এলাকা ঘিরে ফেলে জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। তবে লাগাতার বৃষ্টিতে তল্লাশি অভিযান খানিকটা ব্যাহত হয়। সেনাবাহিনীর অনুমান ছিল, দু থেকে তিনজন জঙ্গি সামনের একটি বাড়িতে লুকিয়ে পড়েছে এবং বাড়ির সদস্যদের পণবন্দি করে ফেলেছে। কিন্তু পরে জানা যায়, রয়েছে মোট ৫ জন জঙ্গি।আর সেখানেই সবচেয়ে বেশি সমস্যার মুখে পড়েন সেনারা। বাড়িতে ঢুকে জঙ্গিদের খতম করতে হলে, বাড়ির সদস্যদেরও ক্ষতি হবে। তাই জঙ্গিদমনে বিশেষ পরিকল্পনা করতে হয়। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় মুক্ত করা হয় পণবন্দি নাগরিকদের।
আরেকদিকে, গান্ডেরওয়ালের গুরেজ সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তানের দিক থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের আটকে দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী। শুরু হয় দু পক্ষের লড়াই। সূত্রের খবর, এখানেও ২ জন জঙ্গি নিকেশ হয়েছে। একইদিনে তৃতীয় ঘটনা ঘটেছে শ্রীনগরে। দুপুরের দিকে জমজমাট এলাকা লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চলে। যদিও সেসময় পথেঘাটে বিশেষ লোকজন না থাকায় প্রাণহানি ঘটেনি। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলাকারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করে।
[আরও পড়ুন : কাশ্মীরে বাড়িতে ঢুকে সদস্যদের পণবন্দি করল জঙ্গিরা, চলছে গুলির লড়াই]
গত মাসে জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পর উপত্যকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। তিনিই পুলিশ এবং নিরাপত্তাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, জায়গায় জায়গায় সন্ত্রাসদমন অপারেশন জোরদার করতে। বিশেষত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর প্রহরা আরও কঠোর করতে বলেছিলেন তিনি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের তরফে সমস্ত রকম হামলার ছক বানচাল করে দিতেই আরও বেশি সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন অজিত দোভাল।
The post অবশেষে জঙ্গিদের হাত থেকে মুক্ত কাশ্মীরের পণবন্দিরা, শহিদ ১ সেনা আধিকারিক appeared first on Sangbad Pratidin.