সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় ফের দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এর পর শপথ নিলেন আরও ৭১ জন। তাঁদের মধ্যে ৩০ জন পূর্ণমন্ত্রী। ৩৬ জন প্রতিমন্ত্রী। বাকিরা স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত। কেন এতজন? ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যেহেতু একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি, তাই মোদিরা এনডিএর শরিক দলগুলোর দিকে বিশেষ নজর রেখেছে। আর সেই কারণেই সব মিলিয়ে ভারী হয়েছে মন্ত্রিসভা।
বিজেপির বাইরে অন্য শরিক দল থেকে কারা পেলেন মন্ত্রিত্ব? দেখা যাচ্ছে, মোট এগারো জন রয়েছেন তালিকায়। এর মধ্যে পূর্ণমন্ত্রী ৫ জন। প্রতিমন্ত্রী ৬ জন। পূর্ণমন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন চিরাগ পাসওয়ান (এলজেপি), এইচ ডি কুমারস্বামী (জেডিএস), রামমোহন নায়ডু (টিডিপি), লালন সিং (জেডিইউ) ও জিতনরাম মাঁঝি (হাম)।
[আরও পড়ুন: সুনীল পরবর্তী যুগ শুরু ভারতীয় ফুটবলে, কার হাতে ক্যাপ্টেনের আর্মব্যান্ড?]
এদিকে প্রতিমন্ত্রী হলেন রামদাস আঠাওয়ালে (আরপিআইএ), রামনাথ ঠাকুর (জেডিইউ), প্রতাপরাও যাদব (শিব সেনার শিণ্ডে শিবির), জয়ন্ত চৌধুরী (আরএলডি), চন্দ্রশেখর পেম্মাসানি (টিডিপি) এবং অনুপ্রিয়া প্যাটেল (আপনা দল)। লক্ষণীয়, এনসিপির অজিত পওয়ার শিবির থেকে কাউকে পূর্ণ বা প্রতি কোনও মন্ত্রিত্বই দেওয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত, সর্বোচ্চ ৮১ জনের ঠাঁই হতে পারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়। তবে সাধারণত সেই সংখ্যা অনেকটাই কম রাখা হয়। শরিক অসন্তোষ যাতে তৈরি না হয়, সেই কারণেই বিজেপিকে এই পথে হাঁটতে হল বলেই মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: লোকসভায় প্রধানমন্ত্রীর স্ট্রাইক রেট কমল ২৯ শতাংশ! বাড়ছে রাহুলের সাফল্যের হার]
এদিকে নতুন মন্ত্রিসভায় রইলেন না কয়েকজন পুরনো নেতা। তাঁদের মধ্যে অন্যতম স্মৃতি ইরানি, অনুরাগ ঠাকুর, রাজীব চন্দ্রশেখর, নারায়ণ রানে। দেখা যাচ্ছে তালিকায় সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)। তার পরই রয়েছে বিহার। বাংলা থেকে মাত্র দুজন। শান্তনু ঠাকুর, সুকান্ত মজুমদার। দুজনই শপথ নিলেন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে।