সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজ চলছিলই। এবার সেই সঙ্গে দোসর হল কালবৈশাখী। শুক্রবার সকাল থেকে কার্যত বন্ধ ছিল শিয়ালদহ মেন শাখার (Sealdah Main line) ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল। সকাল ৮টা নাগাদ ধীরে ধীরে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
শুক্রবার শিয়ালদহ মেন শাখায় ভোগান্তি বাড়ার আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল। নৈহাটি, হালিশহর, কাঁচরাপাড়ার নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজ শেষে বৃহস্পতিবার কল্যাণীর (Kalyani) ইন্টারলক খোলা শুরু হয়েছে। নৈহাটিতেই এই কাজের সময় বেশি লেগেছিল, কারণ সেখানে ১৬৬টি মোটর পয়েন্ট রয়েছে। এই পয়েন্ট হালিশহরে ২৮টি, কাঁচরাপাড়ায় ৬টি থাকায় কম সময়ে কাজ সারা হয়েছে। তবে কল্যাণীতে পয়েন্টের সংখ্যা ৫৮। ফলে তুলনামূলকভাবে বেশি সময় লাগবে। রেল জানিয়েছে, এজন্য দু’দিন সমস্যা বাড়বে। তাতেও যদিবা কাজ চালানো যেত, দোসর হয়ে দেখা দিল কালবৈশাখী।
[আরও পড়ুন: ‘না জেনে বিকৃত প্রচার চলছে’, সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে পড়ানো বিতর্কে জবাব কুণালের]
বৃহস্পতিবার শহরতলিতে মরশুমের প্রথম ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। তাতে একাধিক জায়গায় রেল লাইনে তার ছিঁড়েছে বলে খবর। যার জেরে যে কোটা লোকাল ট্রেন চলছিল, সেটাও চালানো যায়নি। সকাল ৮টা পর্যন্ত নৈহাটি থেকে শিয়ালদহগামী সব ট্রেন কার্যত বন্ধ ছিল। ডাউন লাইনে প্রথম ট্রেন চলাচল শুরু হয় ৭ টা ৪০ থেকে। সকাল ৭টা ৪০ মিনিটের বারাকপুর লোকালের আগে শিয়ালদহগামী কোনও ট্রেন চলেনি। তারপর ধীরে ধীরে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও সেটা ভীষণ অনিয়মিত। যার জেরে প্রতিটি ট্রেনেই অসম্ভব ভিড় ছিল। বহু স্ট্রেশনে যাত্রীরা ট্রেনে উঠতে পারছেন না। যার ফলে অফিসযাত্রীরা তো বটেই, সমস্যায় পড়ছেন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরাও।
[আরও পড়ুন: অপহরণের পর খুন করে তপসিয়ার খালে দেহ! দিল্লি থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার ট্যাংরা থানার পুলিশের]
আজ উচ্চমাধ্যমিকের (Higher Secondary) হেলথ কেয়ার, অটোমোবাইল, সিকিউরিটি, আইটি, আইটিস ভোকেশন্যাল সাবজেক্টের পরীক্ষা। ফলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকা ভীষণ জরুরি। রেল সূত্রের খবর, যত দ্রুত সম্ভব ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কল্যাণী চত্বরে নন ইন্টারলকিং-এর জায়গা-সহ একাধিক স্থানে রেল কর্মীরা নজরদারি চালাচ্ছেন। রেল সূত্রে খবর, পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের সময় যাতে ট্রেন কোনওরকম বিলম্ব না করে সেদিকে লক্ষ রাখতে বলা হয়েছে কর্মীদের।