সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় যুবকের প্রেমের টানে সীমান্ত পেরনো পাকিস্তানি (Pakistan) যুবতীর সঙ্গে আইএসআইয়ের (ISI) যোগ থাকতে পারে। এমনটাই সন্দেহ করছেন উত্তরপ্রদেশের এটিএস আধিকারিকরা। এই পরিস্থিতিতে সেই পাক যুবতী সীমা হায়দার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে আরজি জানালেন, তাঁকে যেন পাকিস্তানে ফেরত না পাঠানো হয়। পাশাপাশি তাঁর দাবি, তিনি গুপ্তচর নন। এদিকে একই দাবি জানিয়ে তিনি চিঠি লিখেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকেও।
এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় সীমার দাবি, ”আমি চর নই। দ্রুত আসল সত্যি সামনে আসবে। যদি পাকিস্তানে কেউ জানতেও পারত আমি ভারতে যাচ্ছি, আমাকে মেরেই ফেলত। মোদিজি ও যোগীজির কাছে আমার আরজি, আমাকে ফেরত পাঠাবেন না।”
[আরও পড়ুন: মোদি পদবি মামলায় এখনই স্বস্তি নয় রাহুলের, মামলাকারী পূর্ণেশ মোদিকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের]
উত্তরপ্রদেশের এটিএস আধিকারিকরা সীমাকে জেরা করেছিলেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় ধরে। কিন্তু তিনি তাঁদের করা সমস্ত প্রশ্নেরই সোজাসুজি জবাব দিয়েছিলেন বলেই দাবি সীমার। তাঁর কথায়, ”আমি বেআইনি অনুপ্রবেশ করলেও আমার কাছে কোনও অপশন নেই। আমি পাকিস্তানে থাকতে চাই না। আমি আমার অতীতের কোনও তথ্যই লুকোইনি।”
উল্লেখ্য, নয়ডার (Noida) বাসিন্দা শচীনের প্রেমে পড়ে ভারতে এসেছেন, এমনটাই দাবি ওই পাক যুবতীর। নেপাল ঘুরে অবৈধভাবে ভারতে আসার অভিযোগে তাঁদের আটকও করা হয়। পরে জামিন পেয়ে শচীনকে বিয়ে করেন সীমা। চার সন্তানকে নিয়ে শচীনের বাড়িতেই সংসার শুরু করেন তাঁরা। তবে সীমার বিরুদ্ধে তদন্ত এখনও চলছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই পাক যুবতীর উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ আরও বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে তিনি এবার আরজি জানালেন মোদি ও যোগীর কাছে।