সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইসল্যান্ডে ফের রুদ্ররূপে জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি। লাভা উদ্গিরণের পর গলিত পাথর ও ধাতুর সেই সর্বগ্রাসী স্রোত আশপাশের অঞ্চল গ্রাস করেছে। পুড়ে গিয়েছে বহু ঘরবাড়ি। ফাটল দেখা দিয়েছে রাস্তায়। ইতিমধ্যেই ওই অঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
বিসিসি সূত্রে খবর, আইসল্যান্ডের দক্ষিণে রেকিয়াজানেস উপদ্বীপে অবস্থিত আগ্নেয়গিরিটি রবিবার সকালে জেগে ওঠে। শুরু করে লাভা উদ্গিরণ। মাছ ধরার জন্য বিখ্যাত গ্রিন্ডাভিক শহরে লাভা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। যে কারণে সেখানকার বাসিন্দাদের দ্রুত সরিয়ে দেওয়া হয়। এর পরই লাভার স্রোত ভয়ংকর আকার ধারণ করে। ধীরে ধীরে শহরের ভিতরে প্রবেশ করতে শুরু করে। যার জেরে শহরের মূল রাস্তা দুভাগ হয়ে যায়। ঘরবাড়িতেও আগুন ধরে যায়।
[আরও পড়ুন: সিকিমের পাহাড়ি জঙ্গলে ক্যামেরাবন্দি তিব্বতি বাদামি ভল্লুক, খুশি বিশেষজ্ঞরা]
এই বিষয়ে আইসল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট গুডনি জোহানেসন সকলকে অনুরোধ জানান, “সকলকে একসঙ্গে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সকলের পাশে দাঁড়াতে হবে। যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত, গৃহহীন তাঁদের সাহায্য করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “আশা করা যাচ্ছে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হবে। তবে যেকোনও সময় যেকোনও কিছু ঘটতে পারে।”
বলে রাখা ভালো, গত বছর ১৮ ডিসেম্বর এই আগ্নেয়গিরি থেকে লাভা উদ্গিরণ হয়েছিল। এক মাসের মধ্যেই এটা দ্বিতীয় অগ্ন্যুৎপাত। সেসময়ও গ্রিন্ডাভিক শহরের অন্তত চার হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে দিয়েছিল প্রশাসন। এবারেরও বহু সংখ্যক মানুষ অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে। এনিয়ে প্রেসিডেন্ট গুডনি এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছেন, গতকাল সারা রাত ধরে বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রাণহানির আশঙ্কা নেই।” তবে পরিবেশবিদদের মতে, এই মুহূর্তে সেখানকার পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। যেকোনও সময় বড় কোনও বিপদ ঘটতে পারে।