সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হওয়াকে হাতিয়ার করে বুধবার শহিদ মিনারের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র আক্রমণ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্ন, যদিও কোনও সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার শাস্তি হিসেবে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সাংসদ পদ খারিজ করা হয়, তাহলে একই কারণে মোদি কিংবা শুভেন্দুর পদ কেন যাবে না? শুধু তাই নয়, এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের কথাও উঠে আসে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের মুখে।
এদিন রাহুল গান্ধীর মন্তব্যকে সরাসরি সমর্থন না করলেও তাঁর সাংসদ পদ খারিজের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলে দেন, “রাহুল গান্ধীর একটা মন্তব্যের উপর ভিত্তি করে তাঁর শাস্তি হল। সাংসদ পদও গেল। কী বলেছিলেন তিনি? নীরব মোদি, ললিত মোদি, নরেন্দ্র মোদি…। তাঁর এই মন্তব্যকে আমি সমর্থন করি না। আমি কারও ভাবাবেগে আঘাতও করতে চাই না। কিন্তু গোটা বাংলার কাছে একটা প্রশ্ন করতে চাই, নির্বাচনী প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) যে ব্যঙ্গাত্মক ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে ‘দিদি, ও দিদি’ বলেছিলেন, তাতে মহিলাদের ভাবাবেগে আঘাত করা হয়নি? এর জন্য তাঁর পদ খারিজ হবে না কেন?”
[আরও পড়ুন: ধরনা মঞ্চে ‘ডবল ডিউটি’তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশাসনিক কাজের জন্য তৈরি অস্থায়ী অফিস]
এরপর তিনি নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুকে। প্রশ্ন তোলেন, রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ‘জুতার তলায় থাকে’। তফসিলি সম্প্রদায়কে অপমান করেছেন তিনি। তাহলে তাঁর পদ খারিজ হবে না কেন? আইন তো কারও জন্য আলাদা নয়। তাই অভিষেক জানিয়ে দেন, সুরাট আদালতের রায়কে হাতিয়ার করেই মোদি ও শুভেন্দুর বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়া হবে। তৃণমূল সাংসদের কথায়, “একমাসের মধ্যে পিটিশন চাই। আগামী দিনেও এ নিয়ে আন্দোলন করব।”
উল্লেখ্য, তৃণমূল আগেই জানিয়েছিল লোকসভা নির্বাচনের তারা একক ভাবে লড়াইয়ের নীতিই নিচ্ছে। বিশেষত কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলানোর সম্ভাবনা কার্যত খারিজই করে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সম্প্রতি রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের পর তাঁর সমর্থনে সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী। আর এবার রাহুলকে নিয়ে সুরাট আদালতের রায়কে হাতিয়ার করে বিজেপি তথা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়ালেন অভিষেক।