সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধুঁকতে থাকা অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে তুলতে আইএমএফের থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। এই ঋণের সুদ মেটাতে দেশবাসীর উপরেই বিপুল করের বোঝা চাপিয়েছে সেদেশের প্রশাসন। অত্যধিক কর চাপানোর ফলে আকাশ ছুঁয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। এহেন পরিস্থিতিতে আইএমএফের (IMF) তরফে বলা হল, দেশের ধনী নাগরিকদের উপর কর চাপানো হোক। সরকারি সুযোগ সুবিধাগুলি এমন নাগরিকদের দেওয়া হোক যাদের সত্যিই প্রয়োজন আছে।
দীর্ঘ আলোচনার শেষে কঠিন শর্তের বিনিময়ে আইএমএফের ঋণ নিতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান। তারপরেই নতুন মিনি বাজেট পেশ করে কর ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়েছে শাহবাজ শরিফের সরকার। এহেন পরিস্থিতিতে আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিভা বলেছেন, “দেশ হিসাবে পাকিস্তান যেন শক্তপোক্ত জায়গায় থাকতে পারে, দেনার দায়ে ডুবে যাওয়ার মতো বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে যেন তাদের পড়তে না হয়। সেই জন্যই বেশ কিছু পদক্ষেপ করার অনুরোধ রয়েছে পাকিস্তানের কাছে।”
[আরও পড়ুন: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ, সুপ্রিম কোর্টে গ্রুপ ডি’র চাকরি হারানো ১,৯১১ কর্মী]
ক্রিস্টালিনা বলেছেন, “পাকিস্তানকে এখন দু’টো কাজ করতেই হবে। রাজস্বের পরিমাণ নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে হবে প্রশাসনকে। যেসমস্ত ব্যক্তি বা সংগঠনের আয় তুলনামূলক বেশি, তাদের উপরেই বেশি কর চাপানো যেতে পারে। সেই সঙ্গে সরকারি সুযোগ সুবিধাও শুধুমাত্র দরিদ্রদের জন্যই সীমাবদ্ধ রাখা উচিত। পাকিস্তানের দরিদ্র মানুষকে রক্ষা করাই আইএমএফের লক্ষ্য।”
আইএমএফের কঠিন শর্তের পরেই প্রশ্ন উঠেছিল, ঋণ মেটাতে গিয়ে প্রবল সংকটে পড়বেন পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ। মূল্যবৃদ্ধির জেরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতেই সর্বস্বান্ত হয়ে পড়বেন তাঁরা। অন্যদিকে ঋণ ছাড়া দেশের অর্থনীতিকে উদ্ধার করা পাকিস্তানের পক্ষে সম্ভব নয়। এহেন পরিস্থিতিতে কেন কঠিন শর্ত দেওয়া হল, তা নিয়ে একাংশের সমালোচনার মুখে পড়ে আইএমএফও। সেই জন্যই পাকিস্তানের অবস্থা নিয়ে মুখ খুললেন সংস্থার প্রধান।