সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইমরান খানের (Imran Khan) বিয়ে আসলে শরিয়তি আইনে মান্যতা পায় না! এমনটাই দাবি করলেন পাকিস্তানের (Pakistan) এক মৌলবি। ২০১৮ সালে তিনিই বুশরা বিবির সঙ্গে ইমরানের বিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু এতদিন পরে তিনি দাবি করলেন, যে সময়ে ইমরান নিকাহ করেছিলেন সেটা আসলে শরিয়তি আইনে মান্যতা পায় না। কারণ বিয়ের সময় বুশরা বিবি ইদ্দাত পর্বের মধ্যে ছিলেন।
২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি তৃতীয়বার বিয়ে করেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাঁদের নিকাহ সম্পন্ন করেন মহম্মদ সইদ নামে এক মৌলবি। সেই ঘটনার পাঁচ বছর পর সেই নিকাহ অনুষ্ঠানের বিরোধিতা করে আবেদন দায়ের করেন মহম্মদ হানিফ নামে এক ব্যক্তি। সেখানেই জানা যায়, আসলে শরিয়তি আইন অনুযায়ী ইমরানের নিকাহ সম্পন্ন হয়নি।
[আরও পড়ুন: জাল ওষুধ তৈরির অভিযোগ, ১৮ ফার্মা কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করল কেন্দ্র]
কেন এমন দাবি হানিফের? তিনি জানিয়েছেন, ইমরানের সঙ্গে নিকাহের সময়ে বুশরা বিবির ইদ্দাত পর্ব চলছিল। শরিয়ত আইন অনুযায়ী, স্বামীর মৃত্যু বা বিবাহ বিচ্ছেদের পর অন্তত তিনমাস নতুন করে বিয়ে করতে পারবেন না মুসলিম মহিলা। তিনমাসের এই সময়টাকেই ইদ্দাত পর্ব বলা হয়। কিন্তু এই পর্ব চলাকালীনই ইমরানকে বিয়ে করেন বুশরা বিবি।
জানা গিয়েছে, প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় বুশরা বিবির। তারপর দু’মাসের মধ্যেই ইমরানের সঙ্গে নিকাহ করেন তিনি, অর্থাৎ ইদ্দাত চলাকালীনই নতুন করে সম্পর্কে জড়ান বুশরা বিবি। নিকাহর পরে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন ইমরান ও বুশরা। তারপর ফেব্রুয়ারি মাসে ফের ওই মৌলবিকে ডেকে পাঠান ইমরান। নতুন করে তাঁদের নিকাহ হয়, কারণ আগের বার শরিয়তি আইনের বিরোধিতা করেছিলেন বুশরা বিবি।