সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পশ্চিমের দেশ থেকে আমদানি হয়েছে অশালীনতা। তাই পাকিস্তানে বাড়ছে ধর্ষণ (Rape)। এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। পাক দূরদর্শনে লাইভ এক অনুষ্ঠানে দেশে বাড়তে থাকা ধর্ষণ নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে ইমরান বলেন, ”এই ধরনের ঘটনা সেই সমাজেই বেশি ঘটে, যেখানে অশালীনতা বাড়ছে।” ধর্ষণের ঘটনা যে বাড়ছে, তা স্বীকার করে সমস্ত মহিলাদের ঢাকা পোশাক পরার পরামর্শ দিচ্ছেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
ইমরানের এমন মন্তব্যকে ঘিরে ঘনিয়েছে বিতর্ক। একজন জননেতা তথা রাষ্ট্রনেতার কাছ থেকে এমন মন্তব্য কাম্য নয় বলেই মনে করছে সেদেশের মানবাধিকার কমিশনও। এদিকে ইমরানের প্রাক্তন স্ত্রী জেমাইমা গোল্ডস্মিথও একহাত নিয়েছেন তাঁকে। একটি টুইট করে তিনি কোরানের আয়াত তুলে ইমরানের দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: ‘মিসেস শ্রীলঙ্কা’র মঞ্চে মুকুট নিয়ে টানাটানি! সুন্দরীদের লঙ্কাকাণ্ডের ভিডিও ভাইরাল]
জেমাইমা, যিনি একজন ব্রিটিশ ফিল্ম নির্মাতাও বটে, তিনি তাঁর টুইটারে পরিষ্কার জানিয়ে দেন, কোরানে বলা আছে পুরুষদের উচিত চোখ বন্ধ রাখা ও নিজের গোপনাঙ্গকে নিয়ন্ত্রণে রাখা। শেষে তিনি লেখেন, ”এই দায়ভার পুরুষেরই।” তবে সেই সঙ্গে আশাপ্রকাশ করেন, এটা হয়তো ভুল উদ্ধৃতি। তিনি লেখেন, ”আমি যে ইমরানকে চিনি সে বলত, পুরুষের চোখে পর্দা থাকুক, মেয়েদের নয়।”
প্রসঙ্গত, পোশাক নিয়ে এই ধরনের মন্তব্য মোটেই নতুন নয়। নারী নির্যাতনের সপক্ষে এমন ধরনের অদ্ভুত যুক্তি এর আগেও শোনা গিয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, পাকিস্তানে রোজ গড়ে ১১ জন মহিলা ধর্ষিতা হন। পাক মানবাধিকার কমিশন মনে করছে, এই পরিস্থিতিতে একজন রাষ্ট্রনায়কের মুখ থেকে এই ধরনের কথা বেরিয়ে আসা অত্যন্ত বিপজ্জনক। ইতিমধ্যেই ইমরানের মন্তব্যের প্রতিবাদে একটি বিবৃতি পেশ করেছে তারা। অনলাইনে তাতে স্বাক্ষর করেছেন বহু মানুষ। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইমরানের এই মন্তব্য ধর্ষণ রুখতে সরকারি ব্যর্থতাকেই প্রকট করে তুলছে।